শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

‘পোর্ট এক্সপো’ ২৭-২৮ এপ্রিল

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথম

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ১৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘পোর্ট এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৭’। আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল দু’দিনব্যাপী এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে বন্দর এলাকায় নির্মিত কারশেড মাঠে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৭ এপ্রিল দুপুরে বর্ণাঢ্য এ এক্সপো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও বন্দর সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি অর্ধ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের ১০৫টি স্টল স্থান পাবে প্রদর্শনীতে।
এ বিষয়ে গতকাল (বুধবার) বন্দর বোর্ডরুমে সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন এন্ড প্ল্যানিং) মো. জাফর আলম। তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে নতুন নতুন বন্দর গড়ে ওঠার প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে তৎপর হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চলমান এবং গৃহীত প্রকল্পগুলো দ্রæততার সঙ্গে বাস্তবায়নে উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশবাসী ও বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন।
১৩০তম বন্দর দিবসকে সামনে রেখে হতে যাচ্ছে পোর্ট এক্সপো। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত বন্দর এ ধরনের আয়োজন করে থাকে। প্রথমবারের মত এ ধরনের আয়োজনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে মো. জাফর আলম জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানতে চান চট্টগ্রাম বন্দরের মার্কেটিং বিষয়ে। কিন্তু জবাবে আমাদের জানাতে হয় যে, এমন কোন বিভাগ বা কার্যক্রম আমাদের নেই। কিন্তু ক্রমবর্ধমান ব্যবসা বাণিজ্য, আমদানি রফতানি এবং বর্তমান বাস্তবতা বন্দরেরও মার্কেটিং থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছি। চট্টগ্রাম পোর্ট এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবে বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রাম বন্দরের ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল, কর্ণফুলী কন্টেনার টার্মিনাল এবং বে-টার্মিনালসহ বড় বড় প্রকল্পগুলো দ্রæততার সঙ্গে বাস্তবায়ণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বে টার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহণ কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী মে মাসের মধ্যে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।
এরপর শুরু হবে নির্মাণ কাজ। বন্দরের উন্নয়নে প্রাইভেট সেক্টরকে সংশ্লিষ্ট করার পরিকল্পনাও রয়েছে। কারণ, বেসরকারি সেক্টরে এখন প্রচুর পুঁজি রয়েছে, যা বিনিয়োগ হলে বন্দরের উন্নয়ন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন বন্দরভিত্তিক হতে হবে। বৃটিশ আমলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন হয়েছিল বন্দরভিত্তিক। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকার এ বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন