স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত থেকে দোকান উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল বুধবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, নিউমার্কেটের ফুটপাত থেকে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরপর নীলক্ষেত এলাকায়ও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
নিউমার্কেটের সামনের অংশে সানগøাস বিক্রি করেন মোতালেব। তিনি সকালে দোকান খোলেননি, এমনকি সরিয়েও নেননি। তিনি বলেন, অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা না করে আমাদের এখানে বসতে না দিলে আমরা কোথায় যাবো?
গত কয়েকদিন ধরে মাইকিং করে নিউমার্কেটের সামনের এলাকায় কোনও হকার না বসার আহŸান জানানো হয়েছিল। এরপর গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিকে নিউমার্কেট এলাকায় হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগেই হকাদের সতর্ক করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগে থেকেই বার্তাবাহকের মতো পুলিশ হকারদের সতর্ক করে দেয়ার কারণে গতকাল আর আগের মতো হকার বসেনি। যা কয়েকজন বসেছিল তারাও তাড়াতাড়ি গুটিয়ে নিয়েছেন দোকান। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় অভিযান শুরু হবে এই খবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দোকানে দোকানে গিয়ে পৌঁছে দিতে দেখা যায় দুই পুলিশ সদস্যকে। তাই সকালে পসরা সাজিয়ে বসার পরপরই আবারো দোকান গুছাতে থাকেন হকাররা।
ফুটপাতের হকার মোহাম্মদ সোহেল তার কাপড়গাট্টি গোছগাছ করছিলেন। দোকান বসিয়ে আবার গুছিয়ে নিচ্ছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, উচ্ছেদ হবে ১১টায়। উচ্ছেদ চলে গেলে আবার বসবো। উচ্ছেদের খবর কে দিয়েছে জানতে চাইলে বলেন, পুলিশ দিয়ে গেছে। তাছাড়া সিটি কর্পোরেশন থেকেও মাইকিং করেছে।
জানা গেছে, নিউমার্কেট এলাকার প্রত্যেক হকারের কাছ থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এই চাঁদার ভাগ পুলিশও পায়। লাইনম্যান রফিক নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানান এক হকার।
পুলিশ টাকা নেয় বলেই আগে থেকে সতর্ক করে বলেও জানান হকাররা। যে দুই পুলিশ সদস্য উচ্ছেদের খবর পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের নেমপ্লেটে লেখা রয়েছে একজন আহসান অন্যজন লুৎফর। এরাই ঘুরে ঘুরে হকারদের কাছে খবর পৌঁছে দিচ্ছেলেন।
এভাবে খবর পৌঁছে দিয়ে হকার সরিয়ে উচ্ছেদ অভিযান কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে নগরবাসীর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন