শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির প্রতিবাদে

| প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজধানীর থানাগুলোতে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী পালন করেছে ঢাকা মহানগর বিএনপি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনম সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সকাল ১১টায় দয়াগঞ্জ জুরাইন রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, মাহাবুব মাওলা হিমেল, ইমতিয়াজ আহম্মেদ টিপু, সালাহ উদ্দিন রতন, মোখলেছুর রহমান, নজরুল ইসলাম, নাসির হোসেন, মো. সেলিমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন রতন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দুপুরে ডেমরা আমুলিয়া মডেল টাউনের গেইটের সামনে থেকে স্টাফ কোয়ার্টার চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির প্রচার সম্পাদক আব্দুল হাই পল্লব, থানা বিএনপি নেতা হাজী কবির হোসেন, হাজী হযরত আলী, আব্দুল আউয়াল, রফিকুল ইসলাম, তাজ মাহামুদ, মনির হোসেন প্রমুখ মিছিলে অংশ নেয়।
গতকার দুপুর ২টায় ভাটারা নতুন বাজার ১০০ ফিট রাস্তায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আলী আকবর আলীর নেতৃত্বে দুপুর ১২টায় স্থানীয় শ্যামলবাগ মোড় থেকে পাওয়ার স্টেশন পর্যন্ত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে দক্ষিণখান থানা বিএনপিবিএনপি নেতা রাকিব উদ্দিন, মো. শাহজালাল, বিল্লাল হোসেন, মিন্নত আলী, আমান উল্লাহ, মো. জাহাঙ্গির ও কবির  হোসেনসহ প্রমুখ মিছিলে অংশ নেয়।
বঙ্গবাজার সরকারী কর্মচারী হাসপাতালের সামনে থেকে কার্জন হল পর্যন্ত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে শাহাবাগ থানা বিএনপি। থানা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক ও ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে মিছিলে বিএনপি নেতা সামছুল আলম চিনু, তৌহিদুল ইসলাম বাবু, সামছুদ্দিন ভ‚ঁইয়া, ইমান আলী, হযরত আলীসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ মিছিলে অংশ নেয়।
এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শাহবাগ থানা বিএনপির সদস্য সচিব এমএ হান্নান, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক সাইফর রহমান সাইদ, ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিন্টু, শাহবাগ থানা বিএনপির অন্য নেতাদের নেতৃত্বে রোববার বিকালে একটি মিছিল শাহবাগ থানার বিভিন্ন সড়ক হয়ে রেলওয়ে হাসপাতলের সামনে প্রতিবাদ সভার মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি সাবেক কমিশনার মোর্শারফ হোসেনের নেতৃত্বে দুপুরে লালবাগ চৌরাস্তা হতে বিক্ষোভ মিছিল পোস্তা, ডালপট্টি, চকবাজার উর্দূ রোড এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২ টায় থানা বিএনপি নেতা সাঈদ হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল নবাবগঞ্জ বাজার থেকে লালবাগ কেল্লার মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বিএনপি নেতা গোলাম সারোয়ার শামিম, ঈসমাইল হোসেন, মো. সেলিম অংশ নেন।
দুপুর ৩টায় চানখারপুল হোসনী দালানের সামনে থেকে বকশি বাজার পর্যন্ত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে চকবাজার থানা বিএনপি। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার পারভেজ বাদল, খতিবুর রহমান খোকন, সাবেক কমিশনার হুমায়ুন কবির, সালেম আহম্মেদ সালেম, নাসির উদ্দিন, সাবের হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
দুপুর ২টায় মিরপুর জার্মান নেকনিক্যালের সামনে থেকে সনি হল পর্যন্ত এলাকায় মিরপর থানা বিএনপি’র উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন থানা বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দুলু, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সামাদ, ওয়াজ উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন খান, মো. সোহেলসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মিরপুর ১ নম্বর মুক্তবাঙলা মার্কেটের সামনে থেকে দুপুর ২টায় সনি সিনেমা হল পর্যন্ত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে শাহআলী থানা বিএনপি। মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি ফেরদৌসি আহম্মেদ মিষ্টি মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সাবের চৌধুরী কিরণের নেতৃত্বে দুপুর ২টায় শিল্পাঞ্চল নূরানী ফ্লাওয়ার মিলের সামনের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সরকারের নেতৃত্বে দুপুর ১টায় আব্দুল্লাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে থানা বিএনপি। মিছিলে অংশ থানা বিএনপি নেতা শাহা আলম, যুবদল নেতা আমিনুল হকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সকাল ১১ টায় থানা বিএনপি নেতা জুলহাস ও জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে কাওলা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি শাহিনুর আলম মারফতের নেতৃত্বে খিঁলক্ষেত বাজার থেকে বটতলা পর্যন্ত মহানগর উত্তর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্ব রোড ফ্লাই ওভার সংলগ্ন ৩০০ ফিট রাস্তায় এবং থানা বিএনপি নেতা সিএম আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় কনকোর্ড লেকসিটি থেকে বোর্ডগার্ড, নামাপাড়া, তেতুল তলা, তালের টেক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও দেশে প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পুলিশী তল্লাশির প্রতিবাদে সভা-সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
খুলনা ব্যুরো জানায়, বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির নামে তান্ডবের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় খুলনা মহানগর ও বিকেলে জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কেসিসি মেয়র ও নগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, শাহজালাল বাবলু, শেখ ইকবাল হোসেন, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার, শেখ হাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান দীপু, আজিজুল হাসান দুলু, ইকবাল হোসেন খোকন, মোঃ শাহজাহান, সাদিকুর রহমান সবুজ, জালু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন বনি, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ,প্রমুখ।
সিলেটে মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ
সিলেট অফিস জানায়, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির প্রতিবাদে রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে পূর্ব ঘোষিত মিছিল বের করতে পারেনি সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় রেজিস্ট্রারি মাঠে শুধু সমাবেশ করতে হয়েছে তাদেরকে। গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশ চলাকালে রেজিস্ট্রারি মাঠে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ ঘোষণার পর জনগণের যে সাড়া জেগেছে তাতে সরকার ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। তাই সরকার ঈর্ষান্বিত হয়ে তল্লাশির নামে খালেদা জিয়ার অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন উজ্জীবিত হয়ে ওঠেছে ঠিক তখন সরকার দমন-পীড়নে নতুন করে মাঠে নেমেছে। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা করে রাজপথ থেকে দূরে সরানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সরকারের এসব অপকৌশল কাজে আসবে না।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের সভাপতিত্বে ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ প্রমুখ।
তল্লাশির প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিল
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির প্রতিবাদে গতকাল রোববার টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদল। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এর আগে সকাল ৯টায় গাজীপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বসির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মহাসড়কের চেরাগআলী এলাকায়, সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগর ছাত্রদল নেতা শেখ সুমনের নেতৃত্বে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোসেন মার্কেট এলাকায় এবং সকাল ৮টায় মহাসড়কের বোর্ড বাজার এলাকায় যুবদল নেতা ফারুক হোসেন খানের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। এসব মিছিলে সকাল থেকেই মুখর হয়ে উঠে শিল্প শহর টঙ্গী। পরে এসব খন্ড মিছিল সকাল ৯টায় টঙ্গী কলেজ গেটে একত্রিত হয়ে হাসান উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদুল ইসলাম কিরণ, মো. আব্দুর রহিম খান কালা, কামরুজ্জামান বিপ্লব, এডভোকেট শহিদুল ইসলাম, আজিজুল হক রাজু, মো. লিটন মৃধা, ফারুক হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম রিপন, মোশারফ হোসেন ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান, শেখ মো. সুমন, তাজুল ইসলাম, প্রমুখ।
ফরিদপুরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিল ও সমাবেশ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান ঃ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশির নামে ভাঙচুরের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে যুবদলের নেতাকর্মীরা মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
গতকাল সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে যুবদলের  নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে দিকে যেতে চাইলে নিলটুলী এলাকার মায়া সুপার মার্কেটের সামনে গেলে পুলিশ মিছিলে বাধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। পুলিশ মিছিল নিয়ে আর এগুতে না দেওয়ায় সেখানেই জেলা যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, দেলোয়ার হোসেন দিলা, রাজীব হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এদিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরিদপুরের কৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা মাহবুবুল হাসান পিংকু।
ঝিনাইদহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাঁধা
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, পুলিশি বাধায় ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি বিএনপি। বাঁধা পেয়ে তার দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা গুলশান কার্যালয়ে তল্লাসীর প্রতিবাদে জেলা বিএনপি রোববার সকালে শহরের গীতাঞ্জলী সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। নেতাকর্মীরা বাঁধা পেয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি মসিউর রহমান বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে তল্লাসীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। এ জন্য তারা রাজনৈতিক ভাবে বিএনপিকে মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়ে পুলিশের ঘড়ে ভর করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা। রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে জাহাজ মোড়ে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা যুবদলের  সভাপতি রায়হান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সিনিঃ যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক নাদিম আহমেদ, ছাত্রদল সভাপতি আমিমুল ইহসান, সম্পাদক হিমেল সহ সংগঠনের নেতারা। বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে অসম্মান করার জন্য গুলশান কার্যালয়ে পুলিশ দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে বর্তমান সরকার।
পটিয়ায় বিএনপি’র প্রতিবাদসভা পুলিশী বাঁধায় পন্ড
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসে তল্লাশির প্রতিবাদে পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা শনিবার দুপুরে ডাকবাংলোস্থ দলীয় কার্যলয়ে চলাকালে পুলিশী বাঁধায় পন্ড হয়ে যায়। পটিয়া থানার ওসি শেখ নেয়ামত উল্লাহ ও ওসি তদন্ত রেজাউল করিম মজুমদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সভাস্থলে এসে নেতাকর্মীদের অফিস থেকে বের করে দিয়ে সভা পন্ড করে দেন।
এর আগে উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক তৌহিদুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, পটিয়া পৌরসভা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাজান চৌধুরী, যুবদল নেতা ইদ্রিস পানু, নাছির উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম।
টঙ্গীতে বিএনপির বিক্ষোভ
টঙ্গী সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে গতকাল রোববার সকালে টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদল। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায় : বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান দলীয় কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে গতকাল (রোববার) নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করার পর দেশের মানুষের কাছে ব্যাপকহারে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তিনি বলেন, ভিশন-২০৩০ দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রই এদেশের মানুষ বরদাশত করবে না। একটি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে দেশের জনগণ গণআন্দোলনের মাধ্যমে পতনের ঘণ্টা বাজাবে।
সমাবেশে মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কোন রক্তচক্ষুকে বিএনপি ভয় পায় না। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ ঘোষণার পর সরকার যে সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে দলীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, বিএনপি নেতা সাবেক কমিশনার সামশুল আলম, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, এস এম সাইফুল আলম, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, হারুন জামান, কাজী বেলাল উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন দ্বীপ্তি, ইস্কান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সামশুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, জি এম আইয়ুব খান, মনোয়ারা বেগম মনি, এম এ হান্নান, সাইফুল ইসলাম বাবুল, কামরুল ইসলাম, গাজী সিরাজ উল্লাহ প্রমুখ।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশির প্রতিবাদে ডাকা  রাজশাহী মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পুলিশি বাধায় পÐ হয়েছে। গতকাল দুপুরে নগরীর মালোপাড়ায় অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েক’শ নেতাকর্মী জড়ো হলেও পুলিশের বাধায় তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করতে পারেনি।
জানা যায়, রাজশাহী মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটনসহ কয়েক’শ নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন। কিন্তু খবর পেয়ে পুলিশ নিচে চারিদিকে ঘিরে রাখে। পরে দুপুর ১২টার দিকে নেতাকর্মীরা নিচে নেমে বিক্ষোভ করতে চাইলেও পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিক্ষোভ করেন, মিছিল করেন সমাবেশ করে যা করার তাই করেন। কিন্তু বাইরে নয়, কার্যালয়ের ভিতরে করেন। বাইরে বের হয়ে বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। পুলিশের বাধারমুখে বিক্ষোভ করতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের পুলিশের অবৈধ তল্লাশির প্রতিবাদে আমরা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করতে চাই। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। ফলে কার্যালয় থেকে আমরা বের হতে না পারায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করতে পারেনি। পুলিশের এটি অগণতান্ত্রিক আচরণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান বলেন, বিক্ষোভ মিছিলের নামে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। তাই তাদের বের হতে দেওয়া হয়নি।
ময়মনসিংহে যুবদলের মিছিল
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশীর প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের উদ্যোগে ছোট বাজার থেকে শুরু হয়ে নতুন বাজারে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুজ্জামান লিটন। বিক্ষোভ মিছিল অংশ নেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, তারাকান্দা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ওহিদুজ্জামান, ফুলপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি সানোয়ার হোসেন খান, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ফুলপুর যুবদলের সাধারন সম্পাদক বিপুল ফকির, মউশ্বরগঞ্জ পৌর যুবদলের সভাপতি আব্দুর রাশিদ, যুগ্ম-সম্পাদক আশিক উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, জেলা তাঁতী দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহজাহান কবীর হীরা, যুবদল নেতা ডা. মজিবুর রহমান, আফজাল হোসেন হলুদ, নয়ন প্রমুখ। পরে দলীয় কার্যালয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে তারাকান্দা উপজেলা সদরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এ সময় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কমৃীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশি তলাশি ও হয়রানি করার  প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদল। রবিবার ২১ মে দুপুরে মহানগরীর জিমখানা আলাউদ্দিন খান স্টেডিয়াম থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন এবং মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকারের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর ঘুরে ডিআইটি চত্বরে এসে পৌছলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে যুবদলের নেতাকর্মীদের ধস্তাাধস্তির ঘটনা ঘটে।এসময় পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে যুবদল নেতাকর্মীরা সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে মোশারফ বলেন, খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে দূর্বল করতেই এ ধরনের তল্লাশি। পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়ে বেশিদিন আর ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। সময় এখন শেষ, গনতন্ত্রের বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার।
খোরশেদ বলেন, এই দিন দিন নয় আরো দিন আসবে। পালিত পুলিশ দিয়ে নয়, আগামীতে যুবদলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রতিটি অফিস তল্লাশি করবে ইনশাআলাহ্। উস্কানির জবাব উস্কানি দিয়েই হবে।আওয়ামী লীগ ক্ষমতার নেশায় পাগল হয়ে গেছে।তাই তারা সভ্যতা ভুলে গিয়ে হীন কাজে লিপ্ত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,  মহানগর যুবদলের যুগ্ম সানোয়ার হোসেন,আহবায়ক রানা মুজিব, মনোয়ার হোসেন মন্তু, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, জুয়েল  প্রধান, জুয়েল রানা, সাগর  প্রধান, মহানগর যুবদল নেতা আমির হোসেন,গাজী মনির, দুলাল হোসেন, ফয়সাল, অলিউজ্জামান পিন্টু, আক্তার, রিটন দে, মাহবুব হাসান জুলহাস, আল আমিন খান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, কাদির মিয়া, ফতুলা থানা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহ্মান্ন আড়াইহাজার থানার সভাপতি জুয়েল আরমান সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন নোবেল, রুপগঞ্জ থানার সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক লাভলু মিয়া, জেলা যুবদল নেতা যাবের আলী প্রমুখ সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশি তলাশি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
রাবি সংবাদদাতা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির নামে রাজনৈতিক হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক গ্রæপ (সাদা দল) এর শিক্ষকবৃন্দ। গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক গ্রæপ (সাদা দল) এর ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণেই এ তল্লাশি চালানো হয়েছে। দেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূণ্য করার গভীর চক্রান্তের অংশ এটি। এ ঘটনাকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। বর্তমান অনির্বাচিত সরকার এ দেশকে গণতন্ত্রবিহীন করে কোন পর্যায়ে নিয়েছে তা এর মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হলো। বিবৃতিতে শিক্ষকবৃন্দ আরও বলেন: আমরা মনে করি দেশের তিনবারের নির্বাচিত সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে চরম অসম্মান করা হয়েছে। এদেশে যে, কেউ আর নিরাপদ নয় সেটাই প্রমাণিত হলো এর মাধ্যমে।
বিবৃতিতে স্বক্ষরকারী শিক্ষকৃন্দের মধ্যে রয়েছেন: রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মামনুনুল কেরামত, সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কেএএম শাহাদাৎ হোসেন মন্ডল, প্রফেসর ড. সি.এম. মোস্তফা, প্রফেসর ড. আফরাউজ্জামান খান চৌধুরী, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সরকার, প্রফেসর ড. কেবিএম মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর ড. এবিএম শাহজাহান, প্রফেসর ড. ময়েজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আশরাফ উজ্জামান, প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ, প্রফেসর ড.  ফজলুল হক, প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর কবীর, প্রফেসর ড. বেলাল হোসেন, প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. দিল আরা হোসেন, প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, প্রফেসর ড. শামসুজ্জোহা এসামী, ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ড. সৈয়দ সরওয়ার জাহান, ড. আওরঙ্গজীব আব্দুর রাহমান, প্রফেসর ড. আব্দুল হান্নান, প্রফেসর ড. আমিনুল হক, প্রফেসর ড. ফারজানা আশরাফী নীলা, প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. মোহাম্মাদ আলী, মেহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ঈদ্রিস ২২ মে, ২০১৭, ৩:৪৮ এএম says : 0
বিএনপিকে আরো সক্রিয় হতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন