খুলনা ব্যুরো : খুলনা জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও তার দেহরক্ষী নওশের গাজী হত্যা মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মিঠুর পিতা ও ভাইকে যারা হত্যা করেছিল, তাদের শাস্তি না হওয়ায় আজ মিঠুকে হত্যার সুযোগ পেয়েছে। কিন্ত পুলিশ প্রশাসন হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করে তাদেরকে রক্ষার মিশন বাস্তবায়ন করছে। মিঠু হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত চার দিনের কর্মসূচির তৃতীয় দিনে শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল রোববার বেলা ১১ টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে এই শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা সবাই এখন সরকারের টার্গেট কিলিংয়ের তালিকায় রয়েছি। এ সরকারের আমলে ইলিয়াস আলী গুম হয়েছেন, চৌধুরী আলম গুম হয়েছেন, অসংখ্য বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, যাদের সন্ধান মেলেনি। ফুলতলার সরদার পরিবার টার্গেট কিলিংয়ের শিকার দাবি করে তিনি বলেন, ওই অঞ্চলের বিএনপির নেতাকর্মীরা আজ আতংকিত। তারা ভয় পেয়ে খুনীদের নাম উচ্চারন পর্যন্ত করতে পারছেনা। পুলিশ আজ সরকারের খুনীদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। আর দলের একজন নেতাকে নির্মমভাবে হত্যার পরও তার প্রতিবাদে দলের নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামতে দিচ্ছেনা পুলিশ। তিনি পুলিশের বাঁধা উড়িয়ে দিয়ে সকল স্তরের নেতাকর্মীদের রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় আমার কেউই বাঁচতে পারবো না।
শোক সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা আব্দুল গফফার। শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মুজিবর রহমান, আমীর এজাজ খান, ডাঃ গাজী আব্দুল হক, শেখ মোশারফ হোসেন, মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিরাজুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, রেহানা ঈসা, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, শেখ আমজাদ হোসেন, শেখ হাফিজুর রহমান, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, জি এম কামরুজ্জামান টুকু, আশরাফুল আলম নান্নু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মহিবুজ্জামান কচি, আজিজুল হাসান দুলু, জালু মিয়া, এহতেশামুল হক শাওন, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, একরামুল হক হেলাল, শরীফ মোজাম্মেল হোসেন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শামীম কবীর, তৈয়েবুর রহমান, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, শরিফুল ইসলাম বাবু, গোলাম মোস্তফা তুহিন, হেলাল আহমেদ সুমন, আতাউর রহমান রনু, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, রবিউল ইসলাম রবি, শরিফুল ইসলাম, নাসির খান, হাসান মেহেদী রিজভী, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, জামিরুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম খোকন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন