স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচন দু’টির জন্যই প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট নির্বাচন করতে চায়, তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয়। শেখ হাসিনা কি জিনিস, তার অধীনে কেমন নির্বাচন হতে পারে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতি দেখেছে। গতকাল (রোববার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ মহানগর উত্তর আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে তিনি নিজেই বিশ্বাস করেন না। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়েই আমরা কেবল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি দিতে পারি। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের শাসনকালে গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, দেশের সমস্ত মানুষ আজ আশঙ্কাজনক পরিবেশের মধ্যে বসবাস করছে। কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারের অপহরণ নিয়ে পুরো দেশবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সময় খ্বু বেশিদিন নেই। অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন।
বিএনপি নেতা কাদের গনি চৌধুরী বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করেছে তাদের অধীনে কোন নির্বাচন হতে পারেনা। যে নির্বাচনে মধ্যরাতের আগেই ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়ে যায়, ব্যালট পেপার ধানক্ষেতে পাওয়া যায় সেই নির্বাচন আর হবে না। আগামী নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই হবে। শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচন হবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা গাজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সংগঠনের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন