গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখছে সরকার : প্রায় ৫০ লাখ ফরম বিক্রি
ফারুক হোসাইন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা, তহবিল গঠন, দল ভারি ও ডাটাবেজ তৈরির জন্য সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে বিএনপি। দুইমাসে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কাছাকাছি অর্জন হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীরাও এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত হয়ে উঠছেন। প্রতিটি জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়নেও স্বত:স্ফূর্তভাবে নেতাকর্মীরা সদস্য পদ নবায়ন করছেন, নতুন করে সদস্য হচ্ছে তরুণ শিক্ষার্থী, যুবক, কৃষক-শ্রমিক, শিক্ষক-চিকিৎসকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। ধীরে ধীরে দলের এই কর্মসূচি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লেও আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসানের বাঁধার মুখে পড়ছে নেতাকর্মীরা। অনেক এলাকায় সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে। আবার কোথাও অনুষ্ঠান শুরুই করতে দেয়া হচ্ছেনা বিএনপিকে। শুধু স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচিতে বাঁধা দানই নয়, বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমকে কঠোর নজরদারিতে রেখেছে সরকার। প্রভাবশালী কয়েকটি গোয়েন্দাসংস্থা মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ১১টি ক্যাটাগরিতে তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত জমা নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশ ও সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচীতে বাঁধা দিচ্ছে এবং হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে সকল শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ এবং বিএনপির প্রতি আগ্রহ দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। কর্মসূচির এই সাফল্যে ঈর্ষার বশবতী হয়ে তারা হামলা করছে, অনুষ্ঠান পন্ড করছে। আসলে এসবই হচ্ছে স্বেচ্ছাচারী সরকারের চরিত্রের বহি;প্রকাশ।
বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম কর্মসূচি শুরুর দিকে তেমন কোন বাঁধার অভিযোগ না পাওয়া গেলেও। সময় যতই যাচ্ছে ততই সারা দেশ থেকে কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাঁধা দেয়ার অভিযোগ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, নেত্রকোনা, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচীতে বাঁধা দেয়া হয়েছে। এতকিছুর পরও বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচীতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে নেতারা জানিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে তাদের টার্গেটের অর্ধেকের কাছাকাছি সদস্য সংগ্রহ হয়ে গেছে। বাকী যে সময় আছে তার মধ্যে সম্পূর্ণ টার্গেট পূরণ হয়ে যাবে বলে দলের নেতারা আশা প্রকাশ করেন।
সদস্য সংগ্রহে বাঁধা: বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে বাঁধা দেয়া হচ্ছে বলে সারা দেশ থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। গত শনিবার বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে এই নিয়ে অভিযোগ করেন। এর আগে বিবৃতি দিয়ে বাঁধা দেয়ার বিষয়ে নিন্দা জানান যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব। এছাড়া বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এই বিয়ে প্রতিদিনই সরকার দল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন। এর মধ্যে গত ৩০ জুলাই রাজধানীর বাংলামটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) টাওয়ারে ধানমন্ডি থানা বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নতুন সদস্য পদ সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচী ছিল। থানা বিএনপির সভাপতি শেখ রবিউল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগেই শাহবাগ থানা পুলিশ এসে সেখানে বাঁধা দেয়। এসময় ৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় পুলিশ। থানার মিজমিজি পাড়া এলাকায় এদিন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এড. তৈমুর আলম খন্দকার।
৩০ জুলাই ফরিদপুরে পুলিশের বাধায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান পন্ড হয়ে যায়। সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড়ে ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রমের প্রধান অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চেীধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ সভাস্থলে যাওয়ার পথে বেড়িবাঁধ মোড়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে বাধা দেয়। এ বিষয়ে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেন, সরকার গণতন্ত্রের নাম-নিশানা মুছে ফেলে একদলীয় পদ্ধতি চালু করার পাঁয়তারা করছে। তারা বিএনপির কর্মকান্ডে ভীত হয়ে আমাদের সব ধরণের সভা-সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।
ওইদিনই মাদারীপুরের শিবচর থানার কয়েকটি ইউনিয়নের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে বাঁধা দেয় পুলিশ। শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মাদারীপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান জানান, শিবচরের মাতবর চর, পাঁচচর এবং কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে আমরা সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচী করেছি পুলিশের বাঁধার মুখে। কর্মসূচী শেষ হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ তাড়া করেছে। কোথাওয় আগেই হুমকি দিয়েছে। সেসব কর্মসূচীতে নারী এবং তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। আসলে সরকার বিএনপিকে দুর্বল করতেই পুলিশ দিয়ে তাড়া করাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত ২৯ জুলাই ফরিদপুর, ময়মনসিংহ এবং খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিএনপি সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণকালে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। রামগড় উপজেলার কালিপাড়ায় ফরম বিতরণকালে পুলিশ বাঁধা দেয়। তার আগে পটুয়াখালির দশমিনায় বিএনপি সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণকালে বাঁধার সম্মুখীন হয়। ১৯ জুলাই কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সদস্য ফরম বিতরণকালে হামলা চালায় যুবলীগ কর্মীরা। এতে কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক শহিদুল ইসলামসহ অন্তত ১০জন আহত হন। এছাড়া গত ২৩ জুলাই টাঙ্গাইলে কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশী হামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। অন্যদিকে, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলেও অনেক জায়গায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গত ২২ জুলাই রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে জেলা ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ বরিশালে বিএনপি মহাসচিবের সামনে বিরোধ ও হাতাহাতিতে জড়ায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির দুটি পক্ষ। নেত্রকোনায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নেত্রকোনা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রফেসর ডা. আনোয়ারুল হক জানান, তার জেলায় এক লাখ নতুন সদস্য সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে কর্মসূচি চলছে। গত ২৯ জুলাই সদর থানার চল্লিশা ইউনিয়নের কর্মসূচী শেষ হওয়ার পরপরই স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে মহড়া দেয়। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে ভীতির সঞ্চার ঘটে। তারপরও টার্গেট ছাড়িয়ে জেলায় আরো বেশি সংখ্যক লোককে বিএনপির নতুন সদস্য করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি জানান। একই জেলার ৫ নং আসনে (পূর্বধলা) মনোনয়ন প্রত্যাশী শহীদল্লাহ ইমরান বলেন, আমরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সদস্য ফরম বিতরণ করছি। আশা করি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। ২১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি উদ্বোধন করেন দলের উপজেলা কমিটির আহŸায়ক নুরুল আমিন। দলের সদস্যসচিব সালাউদ্দিন সেলিমের বাড়ির উঠানে ব্যানার টাঙিয়ে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠান শেষে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন সেলিমের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
২২ জুলাই পটুয়াখালীর দশমিনায় সদস্য সংগ্রহ বর্ধিত সভায় অনুমতি নেই বলে পুলিশের বাধায় সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম কর্মসূচি পালন করতে পারেনি স্থানীয় বিএনপি। গত ১২ জুলাই নারায়ণগঞ্জে সদস্য সংগ্রহ করতে গিয়ে একই ধরণের হামলার মুখে পড়ে বিএনপি। ৮ জুলাই পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে যায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এসময় ৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়।এছাড়াও কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে পুলিশ বাধা দিয়ে অনুষ্ঠান পন্ড করে দিয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলাতেও পুলিশ বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠান পন্ড করে দিয়েছে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া গ্রামে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি পন্ড করে দেয়। হামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতা আহত হয়।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধূরী বলেন, সরকার আসলে বিএনপি’র প্রতি জনসমর্থন দেখে ভয় পাচ্ছে। তাই দলের সাংগঠনিক কাজেও বাধা দিচ্ছে। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম মনে করেন, হামলা মামলা দিয়ে জনগণের সমর্থন পাওয়া যাবে না। তাই সরকারের উচিত গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসা।
গোয়েন্দা নজরদারিতে কর্মসূচি: বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও নবায়ন কার্যক্রমকে নজরদারিতে রেখেছে সরকার। কয়েকটি গোয়েন্দাসংস্থা মাঠপর্যায়ের কর্মীদের ১১টি ক্যাটাগরিতে দলটির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের তথ্য দ্রুত জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে। সূত্র জানায়, বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, সদস্য সংগ্রহের প্রত্যেকটি আয়োজনের স্থান, দিন-কাল, অভিযানে উপস্থিত হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ও পরিচয়, স্থানীয়ভাবে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের নেতৃত্বে কারা আছেন, নবায়নকৃত নতুন সদস্যদের আনুমানিক সংখ্যা, অভিযান অনুষ্ঠানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা, বিএনপির সদস্য সংগ্রহে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে সাড়া ও প্রতিক্রিয়া কেমন, এই কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেউ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাবশালী ব্যক্তি সদস্য হয়ে থাকলে তার পরিচয়, অভিযানের পেছনে কোনও এনজিও বা সংস্থা ভূমিকা রাখছে কিনা এসব বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, হামলা-মামলা, জুলম-নির্যাতনের পরও বিএনপির কর্মসূচিতে সারাদেশের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে। নতুন সদস্যদের মধ্যে তরুণ এবং নারীদের সংখ্যা বেশি হলেও প্রকৌশলী, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ পাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির এই সাফল্য দেখে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ-প্রশাসন হামলা চালাচ্ছে। তবে সবরকম বাধবিপত্তি অতিক্রম করেই বিএনপি তাদের কর্মসূচি সফল করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১ জুলাই রাতে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন