স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে বিএনপি কোনো কথা বললেই আওয়ামী লীগ তার জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এ রায় নিয়ে বিএনপি যখন আনন্দ-উৎসব করে, তখন আমাদের কিছু বক্তব্য না দিয়ে উপায় থাকে না। বিএনপি এ বিষয়ে যতবার কথা বলবে, তার জবাব আওয়ামী লীগ দেবে। তবে আমরা মনে করি এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভালো। গতকাল রোববার সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
রায় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মন্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর রায় নিয়ে কথা বলে আদালত অবমাননা করেছেন। আপনি কেন এত আনন্দিত? রায়ে আপনার নেতা জিয়াউর রহমানকে তো ক্ষমতা দখলকারী বলা হয়েছে। আপনি কেন উল্লাস করেন?
তিনি বলেন, কেউ যদি বলে, একজন ব্যক্তি দেশ স্বাধীন ও দেশ গঠন করতে পারে না। এ ধরনের বক্তব্য খুবই দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি ছয়দফা না দিতেন, আগরতলা মামলা না হতো তাহলে গণঅভ্যূত্থান হতো না। আর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্তও করতে পারতো না। বঙ্গবন্ধু না থাকলে আমরা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হতাম না। ৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী না হলে এ বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তাই কোনও পর্যবেক্ষণে যদি বলা হয়, এক ব্যক্তির নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয় নাই, তখন দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছুই বলার থাকে না। তিনি আরো বলেন, সুপ্রীম কোর্টের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায়ের পরে আমরা কোনও মন্তব্য করিনি। কিন্তু বিএনপি আমাদের পদত্যাগের দাবিতে কথা বলতে শুরু করলো, এছাড়াও অনেক কথা তারা বলা শুরু করলো। রায় নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কিন্তু রায়ের পর্যবেক্ষণে যেসব কথা বলা হয়েছে তা দুঃখজনক। রায় নিয়ে নয়, রায়ে বাহিরে আমাদের (সংসদ সদস্য) অপরিপক্ষ বলা হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। আমরা লেখাপড়া জানা শিক্ষিত মানুষ।
শনিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদপত্র পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা কামাল হোসেনের করা মন্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা বলে দাবি করেন। কিন্তু সেখানে তিনি অনেক কায়দা করে উকিলের মতো সত্যকে গোপন করেছেন। বিচারপতি ইমপিচমেন্টের ক্ষমতা সংসদের হাতে তা ১৯৭২ সালের সংবিধানে ছিল। কিন্তু এখন কামাল হোসেন, আমিরুল ইসলামরা অন্যভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহিতুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগৈর সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন