১০ সেপ্টেম্বর বসছে দশম সংসদের ১৭তম অধিবেশন। এ অধিবেশনে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা’ ঝড় উঠতে পারে। ৭ জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায় ঘোষণা করলেও দোষারোপ করা হচ্ছে একমাত্র প্রধান বিচারপতিকে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা মাঠে-ময়দানে এবং টিভির টকশোতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। খাদ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় উষ্মা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এস কে সিনহাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১৯৯৯ সালে; তার কাছে এমন আচরণ! পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আওয়ামী লীগ নেতা-মন্ত্রীদের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক; বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে নালিশ কোনো কিছুতেই প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে টলানো যায়নি। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফে গতকালের এক রিপোর্টে বলা হয়, ‘প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগ অথবা ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র’। অবশ্য গত সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দৈনিক যুগশঙ্খের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ইম্পিচ বা অপসারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেই। ভারতের মিডিয়ার এসব খবর দেখে দেশের বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের সৃষ্ট জটিলতার ঢেউ কি প্রতিবেশী দেশটিতে পড়েছে?
সরকারের মুখপাত্র হিসেবে গতকাল তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সচিবালয়ে বলেছেন, প্রধান বিচারপতির স্বপ্রণোদিত পদত্যাগের সিদ্ধান্তই পারে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ইস্যুতে চলমান বিতর্কের অবসান ঘটাতে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতিকে বর্জনের ঘোষণা এবং আল্টিমেটাম দিয়েছেন রায়ের পরিবর্তন করতে হবে নয়তো অক্টোবরে প্রধান বিচারপতির অপসারণের দাবিতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি।
দেশের বিশাল অংশ বন্যাকবলিত। বানভাসি লাখ লাখ বিপন্ন মানুষকে সাহায্য-সহায়তা নিয়ে এখন সর্বত্রই হৈ চৈ এবং দৌড়ঝাঁপ হওয়ার কথা; তার বদলে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে চলছে তোলপাড়। প্রথমে ইস্যু ছিল রায়ে পর্যবেক্ষণে ‘কিছু শব্দ’। আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতির দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণ থেকে ওই শব্দগুলো এক্সপাঞ্জ করার দাবি তোলা হয়। ক’দিনের মধ্যেই ৭ বিচারপতির দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণ ইস্যুর বদলে ইস্যু হয়ে গেছেন মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। রায় নয় বরং এখন সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু যেন হয়ে গেছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অভিমত রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতি। তাদের ৬ জনকে বাদ দিয়ে যেভাবে একজন বিচারপতিকে টার্গেট করে মন্ত্রী-এমপিরা মাঠে নেমেছেন; তাতে মনে হচ্ছে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্বপ্রণোদিত পদত্যাগ চায় সরকার। মহামান্য প্রেসিডেন্ট ১০ সেপ্টেম্বর দশম সংসদের ১৭তম অধিবেশন আহ্বান করেছেন। ওই অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। প্রকাশ্যে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগে সরকার চাপ দেবে না দাবি করা হলেও পর্দার অন্তরালে ঘটছে অনেক ঘটনা। এমপিদের মধ্যে যারা কখনো সংবিধান খুলে দেখার প্রয়োজন মনে করেননি; তাদের অনেকেই এখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায় পড়তে শুরু করেছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত অনলাইন মিডিয়াগুলোতে ইতোমধ্যেই খবর বের হয়েছে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে যাতে প্রধান বিচারপতি ইস্যুতে সংসদ উত্তপ্ত করা যায় সে লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পরিবারের আর্থিক বিষয়াদি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংক। রাজস্ব বোর্ডের এ সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও কেউ কেউ বলছেন, এস কে সিনহার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এ কৌশল। সিনহার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ যাতে সরকার গ্রহণ করে সে জন্যই অতিউৎসাহী আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকরা আগ বাড়িয়ে এসব প্রচারের মাধ্যমে সরকারকে উসকে দিচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ‘আদালত যতবার ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করবে, আমরা ততবার সংসদে বিল পাস করব। আমরা বিচারপতিদের চাকরি দেই। তারা সংসদের ওপর পোদ্দারি করবে?’ বক্তব্যের পর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী একই বক্তব্য দেন। আর কমপক্ষে ২০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ব্যক্তিগত আক্রমণের পর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম হাটে হাঁড়ি ভাঙেন ‘১৯৯৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় এস কে সিনহাকে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে’ তথ্য দিয়ে। দলীয় বিবেচনায় সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পেয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রায়ের পর্যবেক্ষণ (মন্ত্রীর ভাষায়) তারা মেনে নিতে পারছেন না। এ জন্য বিচারপতি সিনহার সম্পদের খোঁজখবর নেয়া শুরু হয়েছে।
ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফের এক রিপোর্টে বলা হয়, ‘প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগ অথবা ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। দীর্ঘ দিন একই অবস্থানে ছিলেন সাংবিধানিক দুই শীর্ষ প্রধান শেখ হাসিনা ও বিচারপতি এস কে সিনহা। প্রধান বিচারপতিকে তার পদে তুলে এনেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম কোনো হিন্দু প্রধান বিচারপতি বানিয়েছেন তাকে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়ার পর উত্তেজনা নিরসনে বাংলাদেশে ক্ষমতার করিডোরের বেশ কিছু নিয়ামক প্লেয়ারের চেষ্টা সত্তে্ব সুপ্রিম কোর্ট এবং গণভবনের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। গণভবন হলো প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ ও সিনিয়র মন্ত্রীরা একটি সমঝোতার চেষ্টা করেছিলেন। সফল হননি।’ ভারতীয় মিডিয়ার এ খবরে পরিষ্কার পর্দার আড়ালে সমঝোতা চেষ্টা সফল হয়নি।
প্রধান বিচারপতিকে জোর করে সরানোর চেষ্টা চলছে ক’দিন থেকে বিএনপি নেতাদের এমন দাবি ‘মিথ্যা’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মিডিয়ায় বললেও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে সরকারের অবস্থান উঠে এসেছে। সংসদের আসন্ন অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য হবেন প্রধান বিচারপতি ইস্যু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি সংসদ সম্পর্কে রায়ে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেগুলো ভালোভাবে পড়ার পাশাপাশি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ার জন্য কয়েকজন এমপিকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পয়লা আগস্ট ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। এতে ৯৬ অনুচ্ছেদের বাইরে গিয়ে শাসন সংসদ, আইন প্রণয়ন পদ্ধতি, সংসদের নারী আসনে নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়। বিশেষ করে সংসদ অকার্যকর, অপরিপক্ব- এমন মন্তব্য ক্ষুব্ধ করে তুলেছে সরকারকে। আবার এই রায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অবমাননার অভিযোগও এনেছে সরকারি দল। রায়ে দেয়া পর্যবেক্ষণের প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রিসভার সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের নেতা এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরকারের দায়িত্বশীলরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে রায়ের পর্যবেক্ষণ থেকে কিছু শব্দ এক্সপাঞ্জ করানোর চেষ্টা করে। এ লক্ষ্যে ৬ আগস্ট প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার সঙ্গে দেখা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও দলের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তারা ব্যর্থ হলে ১৩ আগস্ট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান বিচারপতির কাকরাইলের বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন তার সঙ্গে। তাতে কাজ না হওয়ায় ১৪ আগস্ট ওবায়দুল কাদের বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথাবার্তা প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। প্রেসিডেন্ট সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী; তিনি প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেন এ জন্য প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়েছে বলে ওবায়দুল কাদের মিডিয়ায় স্বীকার করেন। ১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনে যান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের জানান, আদালতের রায় ইস্যু নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে দেখা করেন। ২৩ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গতকাল প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে উদ্দেশ করে বলেছে প্রধান বিচারপতির পদ ধরে রাখার যোগ্যতা আপনার নেই। আগামী অক্টোবরের আগেই আপনি এই পদ থেকে চলে যাবেন। এটাই আমরা দাবি করছি। আর না হলে আগামী অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সব ধরনের অনুষ্ঠান বর্জনের হুমকি দিয়ে আরো জানান, সামনের আন্দোলন হবে এক দফা, এক দাবি। প্রধান বিচারপতি শপথও ভঙ্গ করেছেন। শপথ ভঙ্গের কারণে তিনি আর সেই পদে আসীন থাকতে পারেন না। একজন বিচারপতির যে কোড অব কনডাক্ট রয়েছে সেটা মেনে এস কে সিনহা অচিরেই তার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে আমরা এই সুনির্দিষ্ট দাবি রাখছি। বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করার পর গতকালও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চিফ জাস্টিস যে পাকিস্তানপ্রেম দেখান, তা তো দেখাবেনই। একটা জিনিস অন্য বিচারপতিদের মনে রাখা দরকার, উনি যা চান তা হলো জুডিশিয়ারি, ওই বিচারকদের একমাত্র দেবতা। তিনি যা বলেন সেটাই মানতে হবে অন্যদের। সব ক্ষমতা তার হাতে থাকবে, এর বাইরে কিছু থাকবে না। আজকে সেই ব্যবস্থা আমরা বিচার বিভাগে হতে দিতে পারি না। প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিয়ে নিতে চায়। আওয়ামী লীগপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক দাবি করেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি অনেকগুলো অমার্জনীয় বিষয় তুলে ধরেছেন। এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নয়। প্রধান বিচারপতি রায়ের পর্যবেক্ষণে অনেক কাহিনী বলেছেন। রায়ের বাইরে গিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছেন, সেগুলো অত্যন্ত আপত্তিকর। আমাদের সংসদে অনেক জাঁদরেল পলিটিশিয়ান আছে। কিন্তু তিনি সবাইকে গড়ে ইমম্যাচিউর বলে দিলেন। পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি ফাইন্ডিং ফাদারস বলেছেন। তিনি আমেরিকার উদাহরণ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নাম বলেননি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে বলেছেন। এটা পরিষ্কার যে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না, তার এ দেশে বসবাসের কোনো অধিকার নেই। অবশ্য প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা গতকালও তার বক্তব্য যাতে ভুলভাবে মিডিয়ায় তুলে ধরা না হয় সে জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইনজীবী বলেন, এবারের সংসদে যে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক হবে তা বোঝা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে মাঠের ঝড়ের পর এবার প্রধান বিচারপতি সংসদে ঝড়ের কবলে পড়তে যাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন