রাজধানীর শাজাহানপুরে পরিত্যক্ত পাইপে পড়ে উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলাজনিত কারণে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে জিহাদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।
এর মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। এর আগে এ বিষয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন একই বেঞ্চ। একইসঙ্গে জিহাদের মৃত্যুতে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা রেলওয়ে ও সিটি করপোরেশনের অবহেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সারাদেশে কতগুলো অরক্ষিত পাইপ, ঢাকনা বিহীন পাইপের গর্ত ম্যানহোল ও পয়ঃনিস্কাশন পাইপ রয়েছে- তার একটি তালিকা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না-তাও জানতে চান আদালত।
পাশাপাশি আগের দুই বছরে ফায়ার সার্ভিস কি পরিমাণ যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে এবং ট্রেনিং করেছে তার তথ্য গত বছরের ১৫ মের মধ্যে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে খোলা কয়েকশ ফুট গভীর একটি নলকূপের পাইপে পড়ে যায় চার বছরের জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ক্যামেরা নামিয়েও ফায়ার সার্ভিস কোনো মানুষের ছবি না পাওয়ায় পাইপে জিহাদের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর উদ্ধার অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস। এর কয়েক মিনিট পর কয়েকজন তরুণের তৎপরতায় তৈরি করা যন্ত্রে পাইপের নিচ থেকে উঠে আসে অচেতন জিহাদ। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন