কোরীয় উপদ্বীপের সন্নিকটে বিমান মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দ. কোরিয়া। গত মঙ্গলবার রাতে জাপান সাগরের ওপরে এ মহড়া চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ত্রিদেশীয় মহড়া চালানো হয়। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, মহড়ার মধ্য দিয়ে মিত্রদের সঙ্গে বিনা সমস্যায় অভিযান চালানোর সক্ষমতা প্রদর্শন করা হয়েছে। রাতে নিরাপদে বিমান চালানো এবং প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে মহড়ায় অংশ গ্রহণকারী প্রতি দেশের যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কৌশলগত প্রস্তুতিও বেড়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর সঙ্গে রাত্রিকালীন প্রশিক্ষণে এই প্রথম মার্কিন বোমারু বিমান বি-১বি ল্যান্সারস অংশ নিলো। মহড়ায় অংশ নেয়ার জন্য বি-১বি বোমারু বিমানগুলো সাউথ ডাকোটা থেকে উড্ডয়ন করেছে। জাপান সাগরের আকাশসীমা দিয়ে ওড়ার সময়ে কৌশলগত বোমারু বিমানগুলোকে পাহারা দিয়েছে জাপানের এফ-১৫ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়ার এফ-১৫কে বিমান বহর। মহড়ার অংশ হিসেবে আকাশ থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সা¤প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার জবাব দিতে তার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পদক্ষেপের ব্যাপকতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তর একথা জানায়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড তাদের বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার যেকোন ধরনের আগ্রাসনের জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপের ব্যাপ্তির ওপর গুরুত্ব দেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি থেকে নিরাপদ রাখতে এক্ষেত্রে প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা বারবার ব্যর্থ হয়েছে তিনি এমন কথা বলার কয়েকদিন পর এ আলোচনা করা হলো। আরো বলা হয় যে এক্ষেত্রে কেবলমাত্র একটি পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে হবে। পারমাণবিক ক্ষমতাধর এ দুই প্রতিদ্ব›দ্বী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ফলে উভয় নেতা পরস্পরকে লক্ষ্যকরে অপমানজনক কথা বলেন। গত শনিবার এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট ও তাদের প্রশাসন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে আসছে। এক্ষেত্রে অনেক চুক্তি ও অর্থ ব্যয় হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন চুক্তিই কাজে আসেনি। এমনকি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের কালি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই অনেক চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। বরং এসব ক্ষেত্রে মার্কিন আলোচকদের মহা বোকা বানানো হচ্ছে। তাই দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কেবলমাত্র একটি পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে হবে। বিবিসি, রয়টার্স, সিনহুয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন