সরদার সিরাজ
উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক সামরিক শক্তি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে উপনীত হয়েছে। ফলে যেকোন মুহুর্তে যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। আর সে যুদ্ধশুরু হলে তা শুধুমাত্র ঐ অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাদের মিত্রগণও তাতে জড়িত হয়ে পড়তে পারে। ইতোমধ্যেই তার লক্ষণও দেখা দিয়েছে। রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া এ সম্ভাব্য যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবেজড়িয়ে পড়ছে। সত্যি সত্যি যুদ্ধ বেঁধে গেলে এ দেশগুলোর সাথে আরো দেশ সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তা হলেই নির্ঘাৎ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যাবে এবং তাতে ভয়াবহ ধ্বংসলীলা সংঘটিত হবে! কারণ, বিশ্বের বহু দেশের কাছে পরমাণু বোমা আছে, যা অবলীলাক্রমে ব্যবহৃত হবে।
উল্লেখ্য, এসআইপিআরআই’র প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সাল পর্যন্ত যে দেশ পরমাণু বোমা তৈরি করেছে তাদের নাম ও মজুদের সংখ্যা হচ্ছে: রাশিয়া-৪,৭০০, যুক্তরাষ্ট্র-৪,৫০০, ফ্রান্স-৩০০, চীন-২৬০, যুক্তরাজ্য-২১৫, পাকিস্তান-১২০-১৩০, ভারত-১১০-১২০, ইসরাইল-আনুমানিক-৬০, উত্তর কোরিয়া-১০। সব মিলে মোট ১৫,৮৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এর মধ্যে ৪,৩০০টি বিভিন্ন অভিযান বাহিনীর হাতে রয়েছে। এসব বোমার মধ্যে অনেকগুলো হাইড্রোজেন বোমাও রয়েছে। ২০১৫ সালের আগে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ছিল ২২,৬০০টি। কয়েকটি দেশ তাদের মজুদে সংখ্যা হ্রাস করেছে। উপরন্তু পরমাণু বোমা বহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলো একের পর এক মহাদেশীয় এবং আন্তঃমহাদেশীয় তথা দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র নির্মাণ করছে। এসব বোমা জলে, স্থলে ও আকাশে তথা সর্বত্রই ব্যবহারযোগ্য। (সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১০ জানুয়ারি ২০১৬)। স্মরণীয় যে, এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বছরের বেশি অতিক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্র মজুদ এবং নির্মাণের প্রক্রিয়া অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। দ্বিতীয়ত: এবার যুদ্ধ বেঁধে গেলে তাতে অন্য অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রও ব্যবহার হবে তা নিশ্চিত। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া যুদ্ধে পরমাণু বোমা ব্যবহার করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশদ্বয়ের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম নির্বাচনী প্রচারণাকালে ঘোষণা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্বে পুলিশের দায়িত্ব পালন করবে না। বিশ্ববাসী তার এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছিল। সকলেই মনে করেছিল যুক্তরাষ্ট্রেও সাম্রাজ্যবাদীতার অবসান হচ্ছে। কিন্তু না, তা হয়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেননি। তিনি ইতোমধ্যেই তার দলের পূর্বতন প্রেসিডেন্টগণ, বিশেষ করে সিনিয়র বুশ ও জুনিয়র বুশ এর মতো যুদ্ধনীতিই গ্রহণ করেছেন। যার জ্বলন্ত প্রমাণ-সিরিয়া ও আফগানিস্তানে ব্যাপক বোমা হামলা এবং ইয়েমেনে ব্যাপক সেনা প্রেরণ। উপরন্তু তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর হতেই একের পর এক কর্মকান্ডে, বিশেষ করে প্রচন্ড ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী এবং অভিবাসী বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন সারা বিশ্বেই। অন্যদিকে, দেশটির ফেডারেল আদালত তার বহু আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন। নতুবা এতোদিনে ভয়ংকর পরিস্থতি সৃষ্টি হতো। তাই তার বিরুদ্ধে স্বদেশে ব্যাপক আন্দোলন হচ্ছে। তার জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নেমে এখন গত ৬৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে সে দেশের গত প্রেসিডেন্টগণের মধ্যে। এই অবস্থায় তাকে ইমপিচমেন্টের মাধ্যমে বিদায় করার চেষ্টা চলছে। অপরদিকে, ছোট্ট একটি দেশ উত্তর কোরিয়া। সমাজতান্ত্রিক এ দেশটিতে কয়েক বছর যাবত চলছে চরম খাদ্য সংকট। তাতে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ অনাহারে অকাল মৃত্যুর শিকার হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ অপুষ্টির শিকার হয়ে কোনো মতে বেঁচে আছে। কিন্তু দেশটির সর্বোচ্চ নেতার সে দিকে বিন্দুমাত্র ভ্রক্ষেপ নেই। তার একমাত্র ধ্যান বিপুল ব্যয় সম্বলিত সামরিক শক্তি বৃদ্ধি। আর সেটা সাধারণ অস্ত্রে নয়- পরমাণু অস্ত্র এবং দূরপাল্লার তথা আন্তঃমহাদেশীয় দূরত্বের ক্ষেপনাস্ত্র, যা পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম। দেশটির সেনা সংখ্যাও ব্যাপক। রেগুলার আর্মির সংখ্যা ১২ লাখ এবং রিজার্ভ আর্মির সংখ্যা ৭৭ লাখ। উপরন্তু এ পর্যন্ত কয়েকবার পরমাণু বোমার বিস্ফোরণের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে এবং অনেকগুলো পরমাণু বোমা মজুদ আছে বলে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম থেকে জানা গেছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষকে অনাহারে রেখে বিপুল ব্যায়ে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা কোনো সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা হয় দেশের মানুষকে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বেেভৗমত্বকে রক্ষা করার লক্ষ্যেই। কিন্তু দেশের মানুষ যদি অভাবে-অনাহারে সকলেই অকাল মৃত্যুর শিকার হয়; তাহলে, সামরিকশক্তি বৃদ্ধি কার জন্য? মাটি এবং মানচিত্রের জন্য?
যা’হোক, সর্বশেষ তথ্য মতে, কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ইউএসএস মিশিগান নামে একটি মার্কিন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে। এমন এক সময় এই সাবমেরিনটি এসে পৌঁছালো যখন উত্তর কোরিয়া আসল গুলি ব্যবহার করে লড়াই সংক্রান্ত এক মহড়ার মাধ্যমে তাদের সেনাবাহিনীর ৮৫তম বার্ষিকী পালন করেছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে ২৬ এপ্রিল ’১৭ সব সিনেটরদের হোয়াইট হাউসে ডেকেছেন। অন্যদিকে চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, উত্তর কোরিয়া যদি ফের পরমাণু ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এমন অবনতি হবে যেখান থেকে আর ফিরে আসা যাবে না।
ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন মিশিগান একটি মার্কিন রণতরীর বহরের সঙ্গে যোগ দেবে- যাতে রয়েছে বিমানবাহী জাহাজ কার্ল ভিনসন। কোরিয়া উপদ্বীপ এলাকায় এখন উত্তেজনা বৃদ্ধির পাশাপাশি চলছে বাক্যবিনিময় এবং অস্ত্রের মহড়া। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ‘বিশ্বের জন্য এক হুমকি’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি রক্ষণশীল সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নিজেকে যতটা শক্তিশালী হিসেবে জাহির করেন আসলে ততোটা নন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া স¤প্রতি যেভাবে কিছু পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, হয়তো এরকম আরো কিছু পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীও মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোর সঙ্গে একটি সামরিক মহড়া করেছে। এরকম মহড়া পাল্টা মহড়ার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের কূটনীতিকরা টোকিওতে বৈঠক করছেন। উত্তর কোরিয়া ২৫ এপ্রিল ’১৭ ওনসান শহরের চারপাশে আসল গুলি ব্যবহার করে মহড়া দেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মহড়ায় অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমাদের সেনাবাহিনী খুবই সতর্কতার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর গতিবিধি নজরে রেখেছে। এদিকে ২৬ এপ্রিল ’১৭ হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা সিনেটরদের উত্তর কোরিয়ার হুমকি সম্পর্কে ব্রিফিং করবেন।
অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার রদং সিনমুন পত্রিকায় বলা হয়েছে, ইউএসএস কার্ল ভিনসন যুদ্ধজাহাজকে মাত্র একটি আঘাতেই ডুবিয়ে দেয়া সম্ভব। কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বে একটি নৌবহর এ সপ্তাহেই কোরিয়া উপদ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ধৈর্যধারণের সময় ফুরিয়েছে এমন হুঁশিয়ারি দেয়ার পর এই নৌবহর পাঠানোর নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স¤প্রতি উত্তর কোরিয়ার একটি ব্যর্থ মিসাইল পরীক্ষা এবং বিশাল একটি সামরিক প্যারেড আয়োজনের পর কোরিয়াকে ঘিরে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত রদং সিনমুন পত্রিকায় ২২ এপ্রিল ’১৭ প্রকাশিত ভাষ্যের সাথে একটি ফিচারও ছাপা হয়, যেখানে দেশটির নেতা কিম জং-উনকে একটি শুকরের খামার পরিদর্শন করতে দেখা যায়। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমাদের বিপ্লবী বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার জ্বালানী চালিত বিমানবাহী রণতরীকে মাত্র একটি আঘাতেই ডুবিয়ে দিতে সক্ষম’। প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, একটি ‘নোংরা জন্তুকে’ আক্রমণের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার ‘সামরিক শক্তির একটি সত্যিকারের উদাহরণ দেখানো যাবে’। রাষ্ট্রীয় পত্রিকা মিনজু জসনও একই বক্তব্য দিয়েছে। সেখানে এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে সেনাবাহিনী ‘এমন নির্দয়ভাবে শত্রুর ওপর আঘাত করবে, যে তারা আর জীবিত হতে পারবে না’।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এশীয় দেশগুলো সফরের সময় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘উত্তর কোরিয়ার সব দিকই বিবেচনা করছিল। আমরা তাদেররাষ্ট্রীয় মদদে দেয়া সন্ত্রাসবাদের দিকে লক্ষ্য রাখছি এবং পিয়ংইয়ং-এর ওপর কীভাবে চাপ পয়োগ করা যায় সেটাও দেখছি’। জবাবে রদং সিনমুন বলে: ‘যদি আমাদের মহাশক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়, তাহলে সেটি শুধু দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদী বাহিনীকেই ধুলিস্যাত করবে না, তা মার্কিন ভূখÐকেও ছাই করে দেবে’। (সূত্র: সিএনএন এর বরাত দিয়ে ২৫ এপ্রিল ’১৭ দৈনিক ইত্তেফাকের ব্রেকিং নিউজ)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে মার্কিন একটি যুদ্ধজাহাজ কোরীয় উপদ্বীপের দিকে ধাবিত হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া এবং চীনের যুদ্ধজাহাজের তাড়া খেয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের যুদ্ধজাহাজকে অষ্ট্রেলিয়ার দিকে পাঠিয়ে দিয়ে মুখ রক্ষার জন্য বলেছিল তাদের উক্ত রণতরীটি ভুল করে কোরীয় উপদ্বীপে ঢুকে পড়েছিল। এ অবস্থায় রাশিয়া তার সেনা সদস্য উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে বৃদ্ধি করেছে বলে অন্য এক খবরে জানা গেছে। অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এর পাগলামির কারণে দেশ দু’টিতে আতংক বিরাজ করছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করার লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংযত’ আচরণ করার আহŸান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ ইস্যুতে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা প্রশমিত না হলে যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। ২৪ এপ্রিল ’১৭ ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এ আহŸান জানান তিনি। উপরন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়াকেও ধমক দেন। এ ব্যাপারে ২৬ এপ্রিল ’১৭ দৈনিক নয়াদিগন্তে প্রকাশ, উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ পরমাণু অস্ত্রপরীক্ষা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে পুরো দুনিয়ায়, তখন বন্ধু রাষ্ট্র চীন থেকে চূড়ান্ত ‘ধমক’ খেল উত্তর কোরিয়া। কিম জং উনের দেশকে চীনের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ফের যদি তোমরা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করো, তাহলে আমরা চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব। যাকে বলে, ‘পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন।’
প্রতি ৬ সপ্তাহ অন্তর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। তাই ফের একবার উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। এ বার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করলে, এটা হবে তাদের ষষ্ঠ পরীক্ষা। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য হুঁশিয়ারি দিল চীন। উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে ক্রমেই হাওয়া গরম হচ্ছে কোরিয়ান পেনিনসুলায়। ইতোমধ্যেই যুদ্ধের জন্য জাহাজ পাঠিয়ে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রণতরী পাঠিয়েছে চীন, রাশিয়াও।
আরো প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরের কর্তৃত্ব নিয়ে ঐ অঞ্চলের দেশগুলোর পাশাপাশি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে দীর্ঘদিন যাবত। চীন এই অঞ্চল তার করায়ত্বে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র উক্ত অঞ্চলে সামরিক শক্তি ব্যাপক বৃদ্ধি করছে। এই অবস্থায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং দেশটির সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ জারি করেছেন ২৫ এপ্রিল ’১৭ এ দেশের মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। ফলে এ নিয়েও বিশ্ববাসী চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে!
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন