নিজের জীবনের পরোয়া না করেই নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী জঙ্গিকে জাপটে ধরেছিলেন অভিবাসী নাইম রশিদ। আততায়ীর গুলিতে আহতও হয়েছিলেন নিজে। তবু জঙ্গিকে ছাড়েননি। পরে হাসপাতালে মারা যান পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদ থেকে নিউজিল্যান্ডে যাওয়া নাইম। তার সাহসিকতার গল্প দিন কয়েক ধরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় আলোচনার শীর্ষে।
সেই সাহসিকতার জন্যই এবার নাইমকে সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার জন্মভূমি। রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ কথা ঘোষণা করেছেন। রোববার টুইটারে ইমরান জানান, শ্বেত সন্ত্রাসবাদীকে রুখতে গিয়ে শহিদ মিঞা নাইম রশিদের সাহসিকতার জন্য গর্বিত পাকিস্তান। আর তার সেই সাহসকেই জাতীয় পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানাতে চায় সরকার।
শনিবার অ্যাবটাবাদ থেকে নইমের দাদা খুরশিদ আলম জানান, নইমের জন্য গর্বিত তার পরিবার। ওই ঘটনায় মারা গেছে নইমের ছেলে তালহা রশিদও। নিউজিল্যান্ডেই তাদের দাফন হওয়ার কথা। তবে সেই সময়ে সেখানে হাজির থাকতে চান নইমের পরিবার। সে জন্য ভিসার আবেদনও জানিয়েছেন তারা।
এদিকে পাকিস্তানের বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গত অক্টোবরে পর্যটক হিসেবে পাকিস্তানে এসেছিল ব্রেন্টন। সপ্তাহখানেক সেখানে অবস্থান করেছিল। মিনাপিন নগরের যে হোটেলে সে ছিল, তার মালিক জানান, দিব্যি ভদ্র ও ভাল ছেলে মনে হয়েছিল তাকে। ব্রেন্টন জানিয়েছিল, পাকিস্তান সম্পর্কে সে প্রচুর খারাপ কথা শুনেছে। কিন্তু পাকিস্তানে এসে খুব ভাল লেগেছে তার। সূত্র : আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন