মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাশ্মীরের স্বাধীনতায় নারাজ কেন

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থক ভারতীয়রা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিশ্বখ্যাত লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট অরুন্ধতী রায় প্রশ্ন তুলেছেন, গণহত্যার প্রশ্নে ভারতবাসী যদি পাকিস্তানের অখন্ডতার বিরুদ্ধে নিজ দেশের হস্তক্ষেপকে সমর্থন করে এবং তখনকার পূর্ব বাংলার মানুষের বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক রাষ্ট্র গড়ার পক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে কাশ্মির প্রশ্নে তাদের অবস্থান ভিন্ন কেন। কাশ্মির সঙ্কট নিয়ে গত শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকার প্রসঙ্গ সামনে এনে তিনি ওই কথা বলেন।
এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারির কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলাকে কেন্দ্র করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো পাল্টাপাল্টি বিমান হামলায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘাত বাড়তে থাকে। এখনও সেই পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়নি। কাশ্মিরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এই সংঘাতময় বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করতেই আল-জাজিরার সাংবাদিক মেহেদি হাসানের সঞ্চালনায় আপফ্রন্ট অনুষ্ঠানে অংশ নেন অরুন্ধতী।
সাংবাদিক মেহেদি কাশ্মির নিয়ে অরুন্ধতীর অবস্থান জানতে চাইলে বুকারজয়ী এই লেখক বলেন, কাশ্মির সেভাবেই পরিচালিত হওয়া উচিত, যেভাবে সেখানকার মানুষ চায়। এরপর আবার তাকে প্রশ্ন করা হয়, একটি গণভোটের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরবাসী যদি ভারত-পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রের থেকে পৃথক হয়ে সার্বভৌম ও আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, ভারতীয় নাগরিক হিসেবে অরুন্ধতী তা সমর্থন করতেন কিনা। জবাবে অরুন্ধতী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালিন ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ভ‚মিকার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের জাতি-মুক্তির লড়াইয়ে সামিল হয়। তার বহু আগেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার কবল থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ভারতে পালিয়ে গেলে সে দেশের মানুষ তাদের সামর্থের সবটুকু দিয়ে বিপুল সংখ্যায় শরণার্থীর সহায়তায় বাড়িয়ে দিয়েছিল বন্ধুত্বের হাত। তবে একই সেই ভারতীয়তাই কাশ্মিরে সংঘটিত নিজ দেশের সেনাবাহিনীর নৃশংস ভ‚মিকা নিয়ে সোচ্চার নয়।
সাক্ষাৎকারে কাশ্মিরবাসীর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে অরুন্ধতী জানান, অঞ্চলগত অখন্ডতা রক্ষার প্রশ্নকে ‘বৈজ্ঞানিক সত্য’র মতো করে দেখেন না তিনি। ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘ভারতীয়রা যদি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের প্রশ্নে ভারতের হস্তক্ষেপ, অর্থাৎ তখনকার পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়া সমর্থনযোগ্য। কারণ যেখানে ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে সেখানে ওই হস্তক্ষেপ একেবারেই যথাযথ। তাহলে কাশ্মিরেও গণহত্যা হচ্ছে, একই প্রশ্নে ভারতীয়দের অবস্থানের ন্যয্যতা কী?’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
কপিন্দ্রনাথ মাগুর ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৩:১৮ এএম says : 0
বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে ভারত কিন্তু কাশ্মীরকে স্বাধীন করছে না কেন?
Total Reply(1)
Abdullah ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৯:০১ পিএম says : 4
ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করে নি, স্বধীন হতে সহায়তা করেছে ।
Md Mohsin ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৩:১৯ এএম says : 0
এগিয়ে যাও
Total Reply(0)
Nannu chowhan ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৮:৩৬ এএম says : 0
Here we can realizing India having shameful & double standard...
Total Reply(0)
Habib Rahman ২৬ মার্চ, ২০১৯, ৯:৩২ এএম says : 0
if east and west Pakistan staying as a one country than India loosing their power. that`s why India help Bangladesh in 1971 war.
Total Reply(0)
Nasir Uddin ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪৬ পিএম says : 0
কাশ্মির সেভাবেই পরিচালিত হওয়া উচিত, যেভাবে সেখানকার মানুষ চায়।
Total Reply(0)
Habibur Nabi Sohel ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:৪৮ পিএম says : 0
বিশ্বখ্যাত লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট অরুন্ধতী রায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
tazul Islam ২৬ মার্চ, ২০১৯, ১:৪৪ পিএম says : 0
That right
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন