সোমালিয়ার জোড়া বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল রোববার দেশটির একজন মন্ত্রী একথা জানান। এ ঘটনায় তিনশ’ লোক আহত হয়েছে। দেশটি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদির রিজাক ওমার মোহাম্মদ এরদোগান হাসপাতাল থেকে ফোনে জানান, ‘শনিবারের হামলায় ২৩৭ জনের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে। এখানেই সবচেয়ে বেশি লাশ ও আহতদের নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে আরো মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে’।
গত শনিবার শহরটির কেন্দ্রস্থল কে-ফাইভ চৌরাস্তার পাশের একটি হোটেলের সামনে একটি ট্রাকবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই হোটেলটির পাশে একই লাইনে বিভিন্ন সরকারি দফতর, রেস্তরাঁ ও দোকানপাট রয়েছে। বিস্ফোরণে দোকানগুলোর সামনের অংশ বিধ্বস্ত হয় এবং রাস্তায় থাকা গাড়িগুলোতে আগুন ধরে যায়। এর দুই ঘণ্টা পর শহরের মদিনা এলাকায় আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ২০০৭ সালে বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে এটি দেশটিতে চালানো অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা। এ দু’টি হামলায় বহু লোক হতাহত হয়েছে। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে তা পরিস্কার নয়। আল-কায়েদা জঙ্গিদের সাথে আল-শাবাবের সম্পর্ক রয়েছে বলে দেশটির সরকার দাবি করছে। সোমালিয়ার একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে সাফারি নামের ওই হোটেলটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এর ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মোগাদিশুর বাসিন্দা মুহিদিন আলি হোটেলের সামনের বিস্ফোরণটিকে তার দেখা সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ দাবি করে এর ফলে পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা ইবরাহিম মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র থেকে হতাহতের বিভিন্ন পরিসংখ্যান পাচ্ছি। তবে এ পর্যন্ত আমরা ১৮৯ জন নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। এদের অধিকাংশই এমনভাবে পুড়ে গেছে যে চেনার উপায় নেই।’ তিনি বলেন, ‘নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কারণ আরো তিন শতাধিক লোক আহত হয়েছে, যাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।’ সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি ও বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন