মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে প্রতীক বরাদ্দের শেষ দিন ছিল গত সোমবার। এর আগের দিন গত রোববার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়গুলোতে প্রতীক বরাদ্দের দিন মীরসরাই উপজেলা প্রাঙ্গণ থাকত লোকারণ্যে ভরপুর। শুধু আ.লীগের প্রার্থীদেরই এবার নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে দেখা যাচ্ছে। বিএনপি প্রার্থীদের সবাই এখানে নতুন মুখ। অনেকটা অপারগ হয়েই যেন ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাও মনোনয়নপত্র জমা দিতে কেউ নিজেরা আসেননি। বাহক মাধ্যম সবাই মনোনয়ন জমাসহ বিভিন্ন কাজ সারছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, বিএনপির সব প্রার্থীই হয়তো ভোটের আগ পর্যন্ত নিজে থেকেই এলাকায় থাকবেন না। বিএনপির কোনো প্রার্থীর পক্ষে দলের জেলা ও উপজেলা নেতাদেরও কোথাও কোনো কর্মকা-ে দেখা মেলেনি। গত রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে আ.লীগের দুই বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১১১ জন প্রার্থী নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ সুবাদে এখানকার ৯ ইউনিয়নে ২২ জন (সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড) সদস্য প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। প্রতীক বরাদ্দের পরও এখানকার নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দেখা যায়নি ভোটের আমেজ। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় নির্বাচন বিশ্লেষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন আর ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবের কারণে নির্বাচন তার জৌলস হারিয়েছে। মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আমিন অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি প্রার্থীরা নির্বিঘেœ প্রচারণা এবং ভোটারদের দ্বারে যেতে পারছেন না। তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে নির্বাচনী আমেজ যাকে বলে তা নেই। কারণ ক্ষমতাসীন দলের বলপ্রয়োগ প্রদর্শিত হচ্ছে সবদিকে। বিএনপির এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে। আ.লীগ দলের কাউন্সিলের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তাই আ.লীগ প্রার্থীদের বিজয় সুনিশ্চিত জেনে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছেন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন