শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু গাছের ডালে ডালে মুকুলের হাসি

প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খন্দকার আছাদুজ্জামান, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) থেকে : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সর্বত্রই লিচু গাছে মুকুলে ভরে গেছে। বাগান মালিকরা এখন লিচুর ফুলগুলোকে রক্ষার জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ফুলগুলো যাতে ঝড়ে না পরে সে জন্য লিচু চাষিরা পানি, সেচ ও পোকা-মাকড় দূর করার জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। এ গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে অনেক কৃষক, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী লিচুর বাগান গড়ে  তুলেছেন। গাছে গাছে মুকুল দেখে লিচু চাষিরা এবার খুব খুশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে জানা গেছে। সরেজমিনে জানা যায়, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে ছোট বড় বাগান আছে প্রায় ৪০টির মতো এবং লিচুর চাহিদা ব্যাপক। এ গ্রাম থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লিচু নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে মঙ্গলবাড়িয়ায় এখন অনেক লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে। গ্রামের প্রতিটি কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনায় কম করে হলেও ৮/১০টি করে লিচু গাছ রয়েছে। এসব লিচুর বাগান থেকে অনেক লিচু উৎপাদন করা হয়। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব লিচু পাঠানো হয়। এ গ্রামের প্রতিটি পাকা লিচুই গোলাপী রংয়ের, শাস মোটা ও রসে ভরপুর এবং এর গন্ধও অতুলনীয়। তাই মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের সু-স্বাদু লিচুর চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে। ফলে এ গ্রামের অনেক লিচু চাষিই এ বছর মুকুল আসার আগেই লিচু গাছের ফল আগাম বিক্রি করে দিয়েছেন। মধুমাসে এ ফল বাজারে উঠবে। কৃষি অফিসের তথ্য মতে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ৩ হাজার লিচুর গাছ রয়েছে। মাটি ও আবহাওয়া লিচু চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. লিয়াকত হোসেন খান বলেন, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে বাণিজ্যিক ভাবে লিচু চাষ করে অনেক চাষিই লাভবান হচ্ছেন। ভালো ফলনের লক্ষ্যে লিচুর মুকুল রক্ষায় কৃষকরা নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস লিচু চাষিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সেবা প্রদান করে আসছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন