রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মীরসরাইয়ে আখের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা

| প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : মীরসরাইয়ে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর ভালো ফলনে দারুণ খুশি মীরসরাইয়ের আখচাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি রোগবালাই কম হওয়ায় প্রতিটি উপজেলায়ই ফলন ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে কাক্সিক্ষত দাম পাওয়ায় বর্তমানে ফসলটি আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বহু কৃষক। এতে দিন দিন মীরসরাইয়ের আখ চাষের পরিধি বাড়ছে। প্রতিটি আখের মূল্য ৩০ থেকে ৬০ কিংবা ১০০ টাকা পর্যন্ত। দৈনিক এক বাজারে আখ বিক্রি হয় ৮শ’ থেকে ১ হাজার পিস। কৃষকরা জমি থেকে আখ তুলে তা পরিস্কার করে আখের আড়তে বিক্রি করে দেন। আবার অনেকে নিজে দাড়িয়ে খুচরা বিক্রি করেন। মীরসরাই উপজেলার কৃষকরা সাধারণত স্থানীয় বারইয়ারহাট বড় তাকিয়ায় অবস্থিত আখের আড়ত থেকে পাইকারি দামে শত হিসেবে আখ ক্রয় করে তা বিভিন্ন বাজারে দাঁড়িয়ে খুচরা বিক্রি করেন। উপজেলার নাহেরপুর, ঘরতাকিয়া, জোরারগঞ্জ, মস্তান নগর, খৈয়াছুরা, মিঠাছরা এবং বড়তাকিয়া এলাকায় আখের চাষ হয়। প্রতিদিন শান্তিরহাট, জোরারগঞ্জ, বারইয়ারহাট, মিটাছরা, মীরসরাই,বড়তাকিয়া বাজারে দৈনিক এই আখ খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৫ হেক্টর জমি থেকে ১৮ হাজার টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এর বিপরীতে চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। গত বছরও এখানে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আবাদ হয়েছিল ১৩ হেক্টর জমিতে। জানা যায়, মীরসরাইয়ে ২০৮ জাতের আখের চাষ বেশি হয়। রোপণের পর প্রায় নয় মাস পরিচর্যা করতে হয়। ফলন ঘরে তুলতে অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত সময় লাগলেও অনেকেই সেপ্টেম্বর থেকে আখ কাটা শুরু বর্তমানে তা বাজার জাত করছে। কয়েকজন আখচাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার তারা ভালো মুনাফা অর্জন করেছেন। তারা বলছেন, অন্যবারের তুলনায় এ বছর আখের উৎপাদন ভালো হয়েছে, বাজারে দামও ভালো। তবে চাষীরা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তাই মাঠপর্যায়ে তেমন পরিদর্শনে আসেন না। তাই বিভিন্ন সময় রোগবালাই হলে প্রতিকারের জন্য চাষীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলার সকল গ্রামের আখ চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া আখ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় আখ চাষের পরিমাণ বাড়ছে।’ তিনি আরো বলেন, গত পাঁচ বছরে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চাষীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পারদর্শী করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে অধিক ফলন হওয়ার পাশাপাশি বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় আগামীতে চাষ আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন