রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সোনাই নদীতে সেতু না থাকায় হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

| প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে কে এম শামছুল হক আল মামুন
হবিগঞ্জের মাধবপুুরে সীমান্তবর্তী ধর্মঘর ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের কাছে সোনাই নদীর পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ একটি সেতুর অভাবে সারা বছরই যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নদীর উপর বাঁশের সাকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় লোকজন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচল করছে। একটি মাত্র সেতুর অভাবে সোনাই নদীর পাড়ের বিজয়নগর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজারো মানুষ যেন বিচ্ছিন্ন জনপদের বাসিন্দা।
গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের পূর্ব-উত্তরে ফতেহপুর ও বিজয়নগর গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রভাবিত খরস্রোতা সোনাই নদী। নদীর পূর্ব পাড়ে বিজয়নগরসহ এলাকার মানুষের হাটবাজার, ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজসহ সবকিছুই নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। তাই বাধ্য হয়েই নিত্যদিনই সোনাই নদী পার হতে হয় ওই জনপদের হাজারো মানুষের। সে জন্য নদীর উপর বাঁশের সাকো নির্মাণ করে যুগের পর যুগ ধরে যাতায়াত রক্ষা করা হচ্ছে। অনেক সময় নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকো পারাপার হতে গিয়ে পা ফসকে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গ্রামের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঁশের সাকো দিয়ে চলাচল করতে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। তাই বাধ্য হয়ে চার কিলোমিটার ঘুরে চৌমুহনী ইউনিয়নের মহব্বতপুর এলাকা রাবার ড্যামের সেতু ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু মাত্র ১০০ ফুট এলাকায় নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হলে চার কিলোমিটার এলাকা ঘুরতে হয় না। গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র জাফর আলী জানায়, প্রতিদিন কয়েকশত ছাত্রছাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকো পার হতে গিয়ে অনেক সময় বই-খাতা নদীতে পড়ে যায়। অনেক ছাত্র ব্রিজে ওঠতে না পেরে স্কুলে না গিয়ে বাড়ি ফিরে চলে যায়।
বিজয়নগর গ্রামের মুরব্বি ইলিয়াস আলী ও আবু সর্দার জানান, বাঁশের সেতুই আমাদের নদী পার হওয়ার একমাত্র ভরসা। ফতেহপুর, বিজয়নগর ও দেবপুর এলাকায় সোনাই নদীর ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি করে আসলেও জনগণের এই দাবি স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও বাস্তবায়িত হয়নি।
জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু সেতু হয় না। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। এ বিষয়ে ধর্মঘর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সোনাই নদীর ওপর পাকা সেতু খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এলজিইডিকে এখানে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী তানজিল উল্লাহ সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনস্বার্থে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন