কাপ্তাই (রাঙামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই কর্ণফুলী রেঞ্জের মুখ বিট বনদস্যুতের উৎপাতে দিশেহারা বন বিভাগের লোকজন। অভিযোগ পাওয়া যায়, ওই খালের মুখ বিটটি প্রায় ২২ শত একর জায়গা নিয়ে বনাঞ্চল গঠিত হয়েছে। সরকারি অনেক বনজ সম্পদ এখানে রক্ষিত রয়েছে। ওই বিটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিট কর্মকর্তাসহ প্রায় ২২-৩০ জনের মতো লোক সম্প্রতি কর্মরত ছিল। কালক্রমে তা কমিয়ে এনে বর্তমানে ছয়-সাতজন দিয়ে পাহারা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এত বড় এরিয়া বনজসম্পদ পাহারা দিতে কর্তব্যরত লোকজনের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়। বনজ সম্পদ পাহারা দিতে গিয়ে প্রায় সময় স্টাফ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েডে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে। রাতে-কিংবা দিনে পাহারা দিতে গিয়ে পাহাড় পিছলে অনেক স্টাফ হাত-পা ভেঙে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হয়। এর মধ্যে বর্ষাকালীন সময় বনদস্যুদের উৎপাত বেশি। বর্ষায় গাছ কাটার শব্দ পাওয়া যায় না।
বনদস্যুরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোবাইল নাম্বারে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে। ওই বিটে পাহারা জোরদার করায় বনদস্যুরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বড় কোনো গাছ কাটতে না পাড়ায় রাগে ছোট ছোট গাছ কেটে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ওই মুখ বিট কর্মকর্তা জয়ন্ত বিকাশ ত্রিপুরার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সবচেয়ে বড় কথা লোকবল সঙ্কট চরমে। এত বড় বনজ সম্পদ পাহারা দিতে প্রায় ২২-৩০ জনের মতো লোকবল প্রয়োজন, সেখানে আমিসহ আছি মাত্র আটজন। এর মধ্যে অনেক স্টাফ প্রায় অসুস্থ থাকে। পাহারা জোরদার করায় বনদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। কর্মকর্তা ওই বিটে জনবল বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে জোর দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন