রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুমিল্লায় হাসপাতাল কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানীর অভিযোগ

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অর্ধকোটির বেশি টাকা পাওনার কল্পকাহিনী দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন কুমিল্লা নগরীর একটি হাসপাতালের কর্মকর্তা। গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মিথ্যা মামলা দায়েরকারির বিভিন্ন অপকৌশল ও হুমকিতে ওই হাসপাতাল কর্মকর্তাসহ তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকায় অবস্থিত ফয়সল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সজল অভিযোগে জানান, কুমিল্লা নগরীর চকবাজার বজ্রপুর সার্কুলার রোড এলাকার বাসিন্দা নুর আহমেদ সুজন দুর্সম্পর্কের মামা হওয়ার সুবাধে সজলের বাড়িতে যাতায়াত করতো। একপর্যায়ে সজলের স্ত্রীর ওপর সুজনের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সজল ও তার স্ত্রী সুজনকে তাদের বাড়িতে আসতে বারণ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সুজন। নুর আহমেদ সুজন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থান করায় সেখান থেকেই সজলকে কখনো অপহরণ কখনো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে সজল ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সুজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় জিডি করেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সুজন। এসব বিষয় প্রায় দুই বছরের বেশি সময় চুপচাপ থাকলেও এবছরের ১০ জানুয়ারি নুর আহমেদ সুজন চট্টগ্রাম থেকে সজল ও তার ছোট ভাই কামরুল ইসলামের নামে লিগ্যাল ডিমান্ড নোটিশ পাঠায়। সজল ওই নোটিশের আইনগত জবাব পাঠানোর পর সুজন ক্ষোভ প্রকাশ করে সজল ও তার ভাইকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এবছরের ৯ জুলাই সুজন চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সজল ও তার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিআর মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করা হয় সজল ও তার ভাই ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে তিন দফায় চট্টগ্রাম এসে নুর আহমেদ সুজনের কাছ থেকে ৫৬ লাখ টাকা নিয়েছে। ওই মামলায় কুমিল্লার আদালতে ৪ সেপ্টেম্বর এবং চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২ সেপ্টেম্বর হাজির হয়ে সজল ও তার ভাই পুনরায় জামিন নেন।
চট্টগ্রামের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলাটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে ওই হাসপাতালের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সজল বলেন, ‘২০১১ সালের বানোয়াট ঘটনাকে মামলায় রূপ দিয়েছেন নুর আহমেদ সুজন। আর ওই সময়ে তার কাছ থেকে টাকা এতো টাকা নেয়ার কোন যুক্তিই নেই। কারণ আমরা তো ব্যবসা করি না। আমার মামার হাসপাতালে চাকরি করি। মুলত এক সময়ের দর্জি কারিগর নুর আহমেদ সুজনের দুশ্চরিত্রের বিষয়টি কুমিল্লায় জানাজানি হয়ে পড়ায় সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এসব করছে। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হবে। কিন্তু সে আবারো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ফন্দি করছে। ওই মামলার বিষয়ে আমরা চট্টগ্রামে গিয়েও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগি। কারণ সে আমাদের অপহরণ বা প্রাণনাশের ঘটনা ঘটাতে পারে। এব্যাপারে গত ১৮ অক্টোর ৫২২০ নম্বর স্মারকমূলের কুমিল্লার পুলিশ সুপার মহোদয় বরাবর বিষয়টি উত্থাপন করে আমাদের নিরাপত্তার জন্য নুর আহমেদ সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন