শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ নীরব : এরদোগান

বিশ্বের গুটিকয়েক দেশ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, মায়ানমারে মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ নিরব রয়েছে এবং পাশ্চাত্যের দেশগুলোও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে অন্যায় বিশ্ব-ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তা এখনো অটল রয়েছে এবং বিশ্বের গুটি কয়েক দেশ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। গত শনিবার আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এরদোগান আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই এবং সব উগ্র গোষ্ঠীই ইসলাম ধর্ম থেকে দূরে রয়েছে। বরং শত্রæরা সব সময় মুসলমানদের বিরোধ উসকে দেয় এবং কিছু মুসলমানকে অস্ত্র দিয়ে ভ্রাতৃহত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এও বলেন, মুসলিম উম্মাহ সামাজিক ইস্যুতে নয়া চিন্তা-চেতনা তুলে ধরেনি। এ কারণে মুসলমানেরা অন্যের সভ্যতা-সংস্কৃতিকে অনুসরণ করছে। এর ফলে নানা সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে হবে। এর আগে জাতিসংঘকে আরো সংহত করতে সংস্থাটির কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট । তিনি বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ তার মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম- সে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এরদোগান বলেন, জাতিসংঘের সবধরণের ভুলত্রæটি সত্তে¡ও এটিই বিশ্বব্যাপী একমাত্র সংস্থা যেখানে প্রত্যেকেই তাদের দাবি জানাতে পারে ও তাদের সমস্যার সমাধান চাইতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, ‘জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রভাবশালী অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের গঠন অন্যায্য। এটি বৈশ্বিক এই প্রতিষ্ঠানটিকে অকার্যকর করে রেখেছে। এই অঙ্গ সংস্থাটির কারণে বিশ্ব শান্তির অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে জাতিসংঘ তার কর্তব্য পালন করতে সক্ষম হচ্ছে না। আনাদুলো নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Bilal Hosain ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ৫:৫৮ এএম says : 0
ata e so chaye dukkher bisoy
Total Reply(0)
মোঃ আব্দুল গাফফার ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১১:৫২ এএম says : 0
প্রিয় এরদোগান, জাতি সংঘ বিষয়ে আপনি একেবারেই খাঁটি কথাটি বলেছেন, একমাত্র নিরাপত্তা পরিষদই জাতিসংঘকে অথর্ব একটি সাক্ষী গোপাল বানিয়ে রেখেছে। যার শুধু মাত্র দেখা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। তবে হ্যাঁ শিয়াল যোগাড় করার সময় ঠিকই কিন্তু এই সংস্থাটি যম হতে পারে, যেমন- ইরাক ধ্বংস করার সময় করল। যাই হোক, মুসলমানদের কিন্তু বসে থাকলে চলবে না, সামনে এগোতে হবে। আর সে এগোনোটা এগোতে হবে এমন কিছু আবিস্কারের জন্য যেটাকে মুসলিমগণ ছাড়া অন্য কেউ অতিক্রম করতে পারবে না। আর সেটা হল একমাত্র বদরী সাহাবীদের মত ইমান হাসিল করতে হবে সাথে থাকবে সমকালীন জ্ঞান ও বিজ্ঞান। মুসলিমদেরকে অন্যদের নিক্ষেপ করা ক্ষেপনাস্ত্র, শেল, মারনাস্ত্রগুলো ধরে ধরে পকেটে পুরে রাখার মত শক্তি অর্জন করতে হবে। এটা সম্ভব প্রিয় এরদোগান, এটা সম্ভব, পৃথিবীর মানুষ এগুলো দেখেছে, মুসলিমদের দ্বারা এসব সংঘটিত হয়েছে। আমি আজগুবি কোন কথা বলছিল না, মুসলিমদেরকে নিজেদের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। হারিয়ে যাওয়া সব কিছু উদ্ধার করা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই জনাব। মুসলমানদেরকে আপনি যেভাবে সহায়তা করছেন তার জন্য আল্লাহ তায়ালার সমীপে আপনার জন্য দোয়া করি। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট আমি করতে চাই না, কেননা, আপনি আপনার উপর অর্পিত দায়িত্বই পালন করছেন। আপনার দায়িত্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো বাড়িয়ে দিনে সেই দোয়াই করছি। ফি আমানিল্লাহ।
Total Reply(0)
Zakir Hosen ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:৩১ পিএম says : 0
right
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন