বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তবর্তী শুন্যরেখা ক্যাম্পে গত বুধবারের বিবদমান রোহিঙ্গা দু' গ্রুপের গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অনেক লোক হতাহত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের অগ্নিসংযোগে শুন্যরেখায় অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর অন্তত ৫শতাধিক শেড ভস্মীভূত হয়েছে। ক্যাম্পের পুড়ে যাওয়া শেডে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গা বাসিন্দারা খোলা আকাশে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিল। ঐসব শেডে প্রায় ৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করছিল বলে সুত্রে জানা যায়। সন্ত্রাসীদের অগ্নিসংযোগের কারনে খোলা আকাশের নিচে অন্তত ৫ শত পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছিল। তাদের মধ্যে প্রায় ২৬০ পরিবার মায়ানমারের কিছুটা অভ্যন্তরে তাবু টাঙিয়ে কোনপ্রকার অবস্থান করছে বলে জানা যায়। অন্যদিকে রাতের অন্ধকারে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে আরও প্রায় ২ শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের হাজার দুয়েক রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেবার খবর পাওয়া যায়। সুত্রে প্রকাশ, তুমব্রু এলাকায় অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন, এলাকার সাধারণের মাঝে, তুমব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার, স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদল তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনার পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে আসেন। তিনি স্থানীয়দের আশ্রয়ে যেসব রোহিঙ্গা রয়েছেন এবং বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে যেসব রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন তাদেরকে তুমব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হবার আহবান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গত বুধবারে গোলাগুলির ঘটনায় নিহতদের শুন্যরেখায় অবস্থিত কোনারপাড়া কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে এবং আহিতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেবার কথা জানা গেছে।
শুন্যরেখা থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা ঢল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার সময় পথে পথে নানা হয়রানির শিকার হবার কথা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে শুনা যায়।
সীমান্তে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য বিজিবি জোয়ানরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন