ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুড়দিয়া গ্রামে গতকাল বুধবার ভোর ৬টায় স্থানীয় আ’লীগ নেতা শাহজাহান মোল্যা ও বিএনপি নেতা খলিল মোল্যা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক দুই সন্তানের জনক সামচুল আলম (৪০) নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। সামচুল আলম মৃত আ. করিম মোল্যার ২য় পক্ষের ছোট ছেলে। নিহতের মেজো ভাই মাহাবুবুরের স্ত্রী জোবায়দা বেগম জানান, শাহজাহান ও সামচু সৎ ভাই। শাহজাহান আ’লীগ সমর্থক ও সামচু বিএনপি সমর্থক। শাহজাহানের আপন ভাই কুদ্দুস ও সামচুল দু’জনই খলিল গ্রæপের সমর্থক। ঘটনার দিন ভোরে কুদ্দুস প্রতিবেশি ওমরকে নিয়ে বাড়ির পাশে গুড়দিয়া মাঠে পানিতে পাতা কারেন্ট জাল আনতে গেলে শাহজাহান ও ইলিয়াসসহ ৮-১০ জন তাদেরকে চোর বলে মারপিঠ শুরু করে। কুদ্দুসের ডাকচিৎকারে সামচুল এগিয়ে গেলে তাকে গরু জবাই করা ছোরা দিয়ে পেটে আঘাত করে। এ সময় উভয় গ্রæপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। হামলায় আহত সামচুলকে প্রথমে বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে তার মৃত্যু হয়। অপর আহত খলিল গ্রæপের আকবর মোল্যা (৬০), ওমর মোল্যা (৩৫), শাহিদুল (৪০), অপর শাহজাহান মোল্যা গ্রæপের (৪২), হেমায়েত (৩০), টিটু (৩৬), ইলিয়াস মোল্যা (৫০), আব্দুল্লাহ (১৭), নাজমুল (২৮) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় আহত শাহজাহান মোল্যা বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো চিকিৎসা শেষে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে শাহজাহান মোল্যা গ্রæপের কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, শাহজাহান মোল্যা ও সামচুল সৎ ভাই। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ মৃতের ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তন্তর করবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন