ময়মনসিংহের নান্দাইল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার মো. নূর নেওয়াজ নিজে ঘুষ নেন না বলে নিজের সাফাই নিজেই এ সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন। নান্দাইলবাসীর প্রশ্ন যদি সাব-রেজিস্ট্রার ঘুষ নেন না তবে অফিস সহকারী চন্দনা পন্ডিত প্রতি দলিলে সেরেস্তার নামে দলিল ভেদে মোটা অঙ্কের বাধ্যতা মূলক যে টাকা নেন তা যায় কোথায়? অফিস সহকারী চন্দনা পন্ডিত প্রায় তিন বছর ধরে নান্দাইল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় দলিল প্রতি হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সেরেস্তার নামে।
নান্দাইল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জমির ক্রেতা বা বিক্রেতা কেউ সরাসরি অফিসে কোনো ফিসের টাকা জমা দিতে পারেন না। দলিল লেখকদের কাছেই স্ট্যাম্পের চালান, মূল্য, দলিল লেখার ফি এবং অফিসের যাবতীয় খরচ জমা দিতে হয়। শুরুতেই দলিল লেখক গ্রহিতার কাছ থেকে সম্পাদনের খরচ বাবদ লম্বা একটি খরচের তালিকা ধরিয়ে দেন। সম্পাদনের আগেই অফিস সহকারি চন্দনার কাছ থেকে একটি কোড নাম্বার সংগ্রহ করতে হয় সংশ্লিষ্ট দলিল লেখককে। অফিস শেষে অতিরিক্ত টাকাসহ সেরেস্তা জমা দিয়ে দলিলের রিসিট সংগ্রহ করতে হয়। দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে বাড়িকে কান্দা, কান্দাকে নামা জমি দেখিয়ে সরকারের লাখ লাখ টাকা গচ্ছা দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছে নান্দাইল সাব রেজিস্ট্রি অফিসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারী। অফিস সহকারী চন্দনার হাতে দু’টি কাগজে ফিসের টাকা জমা নেয়া হয়। একটি সরকারী ফিসের জন্য অপরটি সেরেস্তার হিসাবের জন্য টেবিলের ড্রয়ারে থাকে এমন অভিযোগও করেছেন ভ‚ক্তভুগীরা। দুদক ও আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানান অভিযোগকারীরা। নান্দাইলবাসীর প্রশ্ন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতিবাজদের খুঁটির জোর কোথায়? এ নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন