১২ বছরে পদার্পণ করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ৯। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এক যুগ পার করে এই এলিট ফোর্স। গতকাল বর্ণাঢ্য আয়োজনে ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে র্যাব-৯।
২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এলিট ফোর্স র্যাবের নবম ব্যাটালিয়ন হিসেবে টেক্সটাইল মিলস্, ইসলামপুর, সিলেটে র্যাব-৯ এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ নিয়ে র্যাব-৯ গঠিত হয়ে প্রশাসনিক ও অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। জঙ্গিবাদ দমনে প্রথমে ‘বাসাবো অভিযান’ সূচনা করেছিল এই র্যাব-৯। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের সূর্য দীঘল বাড়ী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এবং গাজীপুরে সফল অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতাদের গ্রেফতার করে এই ব্যাটালিয়ন; ফলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর র্যাব-৯ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বিভক্ত হয়ে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ জেলা নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৪ আত্মপ্রকাশ করে। সিলেট বিভাগের ৪ জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ নিয়ে র্যাব-৯ বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছে।
সিলেটের আলোচিত আতিয়া মহলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ এ ভিকটিম উদ্ধারে র্যাব-৯ এর প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা এবং পরবর্তীতে ‘অপারেশন ক্লিয়ার আতিয়া মহল’ ছিল র্যাব-৯ এর একটি উল্লেখযোগ্য অভিযান। র্যাব-৯ এর গত এক বছরের অপারেশনাল কার্যক্রম ও চাঞ্চল্যকর উদ্ধারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সফলতা রয়েছে। এরমধ্যে জঙ্গি চারজন, শীর্ষ সন্ত্রাসী চারজন, হত্যা মামলার আসামি সাতজন, বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার আসামি দুইজন, অস্ত্র মামলার আসামি ১৫ জনসহ মাদক উদ্ধারের বিশেষ ভ‚মিকা রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৯ এর সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিপুল অর্থ জরিমানা করা হয়। এভাবেই মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র্যাব-৯ দীর্ঘ ১২ ছর যাবত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার আমানউল্লা কনভেনশন সেন্টারে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদসহ সিলেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন