বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

লোহাগড়ায় অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

নড়াইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের অবহেলায় অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যার কারণে বিপ্লব শেখ নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় জনতা এ্যাম্বুলেন্সটি ঘেরাও করে রাখলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারকে শোকজ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, লোহাগড়ার সিংগা গ্রামের ফয়জুল্লা শেখের ছেলে বিপ্লব শেখ (৩৫) গত বুধবার রাত ১০টায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে অন্যত্র চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে রোগীকে একটি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার পথে চৌগাছা নামক স্থানে পৌঁছালে এ্যাম্বুলেন্সটির যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দেয়। ওই সময় রোগীর আত্মীয়স্বজন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো. খাইরুল ইসলামকে ফোন করলে সে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সহযোগী রফিকুলকে চালাতে দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। রফিকুল প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স থেকে অক্সিজেন ছাড়াই রোগীকে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু বিধি বাম! সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের পেছনের দরজা (ডালা) খুলতে না পারায় পাশের জানালা দিয়ে রোগীকে টেনে-হিঁচড়ে এ্যাম্বুলেন্সে ঢোকানোর পর রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সরকারি ড্রাইভারের সহযোগী রফিকুল ঠিকমতো সিলিন্ডার থেকে রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ (ধরাতে) করতে পারেনি। ওই সময় এ্যাম্বুলেন্সেই বিপ্লব শেখের মৃত্যু হয়।
এ সময় উত্তেজিত লোকজন হেলপারসহ এ্যাম্বুলেন্সটি অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ড্রাইভার খায়রুলকে সাথে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিপ্লব শেখের ভাই পান্নু শেখ, আত্মীয় মশিয়ার সিকদার, সোনামিয়া সিকদারসহ অনেকে অভিযোগ করেন, লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো. খাইরুল ইসলাম নিজে গাড়ি না চালিয়ে তার সহযোগি রফিকুলকে দিয়ে এম্বুলেন্স চালিয়ে এনেছিল। রফিকুল রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যর্থর কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা: লুৎফুন নাহার বলেন, ‘আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতি ব্যতিরেকে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাহিরে গমন এবং কারণবশত স্থানীয় জনতা কর্তৃক এ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালে আনতে বাধা প্রদান ও ঘটনাস্থল চৌগাছা থেকে এ্যাম্বুলেন্স ফেলে রেখে নিজে চলে আসার অভিযোগে ড্রাইভার মো. খাইরুল ইসলামকে কৈফিয়ত তলব (শোকজ) করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ড্রাইভার মো. খাইরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন