আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে
বগুড়ার গাবতলীতে সবজি চাষের পাশাপাশি লাভজনক মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকসহ নারী শ্রমিক এখন ক্ষেত থেকে লাল মরিচ পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। জানা যায়, উপজেলার কাগইল, বালিয়াদিঘী, নেপালতলী, সুখানপুকুর, নশিপুর ইউনিয়নের কৃষকরা ব্যাপকভাবে মরিচ চাষ করছে। সবচেয়ে বেশী মরিচ চাষ হয়েছে বালিয়াদিঘী ও নশিপুর ইউনিয়নে। নশিপুরের মাঝবাড়ী গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল ম-ল জানান, চলতি মৌসুমে আমরা লাভজনক ফসল হিসেবে মরিচ চাষ করছি। লাল তীর সীড লিমিটেডের হাইব্রিড সনিক মরিচের জাত চাষ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। কৃষক মোখলেছার রহমান জানান, হাইব্রিড সনিক মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও সুট মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল তীর সীড লিমিটেডের বগুড়া এরিয়া ম্যানেজার জানান, ‘আমাদের হাইব্রিড সনিক মরিচ চাষ করে কৃষকের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের উৎপাদন বাড়লে আয় ও চাহিদা বাড়বে।’ গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, মরিচ চাষে লাভ বেশি। কৃষকদের মরিচ চাষে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। এজন্য মাঠপর্যায়ে মাঠ দিবস ও কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের তথ্য এবং পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছি আগামীদিনে মরিচ চাষ ও উৎপাদন আরো বাড়বে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাজমুল হক ম-ল জানান, কৃষকরা সবজির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে মরিচ চাষ করছে। এ মৌসুমে উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬শ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ৫৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপসী জাতের মরিচ ১৬৮ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে ৩৭২ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টন। কৃষকসহ নারী শ্রমিকেরা এখন মরিচ ক্ষেত থেকে লাল মরিচের পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও জাহেদুর রহমান জাহিদ ও জান্নাতি মহল তুলি জানান, মরিচ চাষে কৃষকদের পরিশ্রম একটু বেশী। তবে ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন