ল²ীপুরের রামগঞ্জে আথাকরা বাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিক গ্রুপের সাথে একই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন বিষয়ক সম্পাদক মহিন ড্রাইভার গ্রুপের মধ্যে শুক্রবার রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় কবির হোসেন (৪৫) ও এমরান হোসেন (৩৫) নামের দুইজন গুলিবিদ্ধ সহ উভয় গ্রুপের ৫ জন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবির ও এমরানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। কবির হোসেন একই এলাকার মুক্তারপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে, এমরান হোসেন দেবনগর গ্রামের মোঃ হোসেনের ছেলে ও আলম হোসেন বদলকোট গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রাতব্যাপী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আথাকরা বাজার এলাকা থেকে ৬ জনকে আটক করে। এ সময় বাজারের দক্ষিন পাশের ব্রিজের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি চাপাতি, ১টি চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহিন ড্রাইভারের মালিকানাধীন বালুবাহি একটি পিকআপ বিষ্ণুপুর যাওয়ার পথে আথাকরা বাজার পৌছলে চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের সহযোগী যুবলীগ নেতা ইলিয়াছ, নোমান হোসেন, খোরশেদ আলমসহ ১০/১২ জন পিকআপ চালক কবির হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে বাম পায়ে ও মাথায় গুলি করে, হেলফার আলম হোসেনকে বেদম মারদর করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মহিন ড্রাইভারের লোকজন খবর পেয়ে বশির আহম্মেদ মানিক সমর্থিত এমরান হোসেনকে আথাকরা বাজারের অদূরে আটক করে বেধম মারধর করে বুকে গুলি করে মৃত ভেবে স্থান ত্যাগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে রাতব্যাপী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আথাকরা গ্রামের আরিফ হোসেন (১৯), ইসমাইল হোসেন (১৯), মোঃ সুমন (১৯), দেহলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম পলাশ(২০), পূর্ব দেহলা গ্রামের তুহিন (১৮), পূর্ব শোশালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম সায়েম সহ ৬ জনকে আটক করে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তোতা মিয়া জানান, খবর পেয়ে দ্রুত অতিরিক্ত পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত সারারাত অভিযান চালিয়ে হামলাকারী সন্ধেহে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন