মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্দশা দেখতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সড়ক পথে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে তাঁর গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা দেন। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে কাঁচপুর ব্রিজের কাছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গাড়িবহর দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে। এক ঘন্টারও বেশি সময় গাড়িবহর যানজটে আটকে থাকে। অবশেষে কোনো উপায় না দেখে যানজট নিরসনে কাঁচপুর ব্রিজের আগেই ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তাকে অনুসরণ করে অন্য নেতাকর্মীরাও খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরকে নির্বিঘেœ যেতে সহায়তা করতে রাস্তায় নামেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের উদ্দেশ্য সকালে পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা ত্যাগ করেন বিএনপি নেত্রী। ঢাকার ভেতরে যানজটে না পড়লেও যাত্রাবাড়ির পর থেকেই থেমে থেমে যানজটের কবলে পড়েন তিনি। সাইনবোর্ড এলাকায় গাড়ির একেবারেই থেমে যায়। যানজট এতটাই প্রকট আকার ধারণ করে যে একপর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই নেমে পড়েন রাস্তায়। তিনি দু’হাতের ইশারায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। নেতাকর্মীরাও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে তাকে অনুসরণ করে ট্রাফিক পুলিশের পাশপাশি দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে প্রায় ঘন্টাখানেক সময়ে গাড়িবহরটি কাঁচপুর ব্রীজ এলাকা অতিক্রম করে।
বিকেল পৌনে ৫টায় খালেদা জিয়া ফেনীর সার্কিট হাউজে পৌঁছেন। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের উদ্দেশ্যে রাতেই রওনা দেন। চট্টগ্রাম পৌঁছে সেখানকার সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন বিএনপি নেত্রী। আজ রোববার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন তিনি। আজ কক্সবাজার সার্কিট হাউজে অবস্থান করে আগামীকাল সোমবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন তিনি। এসময় তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী, বোয়ালমারা ও জামতলী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন