রংপুরের গংগাচড়ায় রাস্তার পাশের স্থাপনা না সরানোর কারণে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ সঠিক সময়ে হচ্ছে না। ফলে সঠিক সময়ে তিস্তা সেতু চালু হচ্ছে না বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সেতু বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৯ মিটার প্রস্থ’ বিশিষ্ট তিস্তা সড়ক সেতুটি ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজের উদ্বোধন করেন। আর কাজটি বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। সেতুটি নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভানা কনস্ট্রাকশন। প্রথমে সেতুটির নির্মাণ সময় ছিল দুই বছর চার মাস। পরবর্তীতে বাড়ানো হয় এক বছর। দ্বিতীয় দফায় আরো এক বছর বাড়িয়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ বছরের ৩০ জুন সময় বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ সেতুটি কাজ শেষ করে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এলজিইডির নিকট হস্তান্তর করার কথা ছিল। তবে মূল সেতুর কাজ প্রায় শেষ। সংযোগ সড়ক (৫০০ মিটার) নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে কোনো বরাদ্দ না থাকায় লোকজন বাড়িঘর সরাতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার মন্ত্রী পর্যায়ে ও স্থানীয়ভাবে বসেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় একটি মহল কাজে বিঘœতার সৃষ্টি করছে।
ল²ীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমিও জেনেছি স্থানীয় একটি মহলের কারণে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ সঠিক সময়ে হচ্ছে না। গোপনে তারা জমিওলাদের সাথে শলাপরামর্শ করে কাজ বিলম্বিত করছে।’
দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণে দায়িত্ব প্রাপ্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কালীগঞ্জ উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ বলেন, ‘সেতুটির মূল কাজ প্রায় শেষ। শুধু ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ বাকি। কাজটি করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। একটি মহলের কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন