রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পীরগাছায় অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ!

পীরগাছা (রংপুর) থেকে সরকার রবিউল আলম বিপ্লব | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রংপুরের পীরগাছা উপজেলা পরিষদ চত্বরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্থাপনা নির্মাণ করায় জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও একটি ভবনের নকশা পরিবর্তন করে ভবন ভেঙে একাধিক নতুন কক্ষ তৈরীর অভিযোগ উঠেছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবকাঠামো তৈরীতে অর্থের উৎস নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
১৯৮২ সালে উপজেলা পরিষদের ভেতরে আদালতের কাজ পরিচালনার জন্য গণপূর্ত বিভাগ ভবনটি নির্মাণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ বিলুপ্তি হলে ভবনটি উপজেলা প্রশাসন ব্যবহার করে আসছেন। ইতিপূর্বে ভবনটিতে উপজেলার একাধিক দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে উপজেলা ভূমি অফিস ও সেটেলম্যান অফিস হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সম্প্রতি উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ভবনটি ভেঙে পূর্বের নকশা পরিবর্তন করে একাধিক নতুন কক্ষ তৈরী করেন। ভবনের বারান্দাটি জনসাধারণের জন্য উন্মক্ত থাকার কথা থাকলেও একটি অংশ বন্ধ করে কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে ছোট্ট একটি গলির মধ্য দিয়ে দুইটি অফিসের লোকজন অতি কষ্টে চলাচল করে আসছেন।
এছাড়াও অফিসটির সামনে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত রাস্তার ওপর একটি অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে উপজেলা পরিষদে আসা সাধারণ জনগন চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। অফিসটির সামনে জনসাধারণের জায়গা সংকট হওয়ায় অন্য স্থানে অবস্থান করতে হয়।
এদিকে ভবন ভেঙে নতুন কক্ষ নির্মাণ বারান্দা বন্ধ করে তথ্য কেন্দ্র ও মাঠে অবকাঠামো নির্মাণে বিপুল পরিমান অর্থে যোগান নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এসব স্থাপনা নির্মাণে সরকারী কোন তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়নি। বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হলেও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম অজ্ঞাত মাধ্যম থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করেন। জমি মালিকদের জিম্মি করে নাম জারির নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ও চাঁদা উত্তোলন করে এর একটি অংশের অর্থ দিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা চত্বরে কোন স্থাপনা নির্মাণ বা অপসারণ করলে জেলা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হলেও এখানে তা তোয়াক্কা করা হয়নি। ফলে উপজেলা পরিষদের ভেতরের সৌন্দর্য নষ্টসহ জনসাধারণু চরম হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলামের ক্ষমতার অপব্যবহার করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এসব স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদসহ নকশা পরিবর্তন করে স্থাপনা নির্মাণ করার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান সচেতন মহল। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, উপজেলা চত্বরে স্থাপনা নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে অনুমোদন নেয়া হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন