শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

হিলিতে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ

হিলি থেকে গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। এত করে বিপাকে পড়েছে খামারিরা। চাহিদা অনুযায়ী গরুর প্রধান খাদ্য খড় না থাকায় ভোগান্তীতে পড়েছে ছোট-বড় খামারি ও কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে চড়া দামে গরুর প্রধান খাদ্য খড়সহ বিভিন্ন গো-খাদ্য বিক্রি হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থন ঘুরে কৃষক ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গবাদী পশুর খদ্য সংরক্ষেণের জন্য তারা আমদ ধানের খড় সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি আকর্ষিক বণ্যার কারণে খামারী ও কৃষকেরা খড় মজুত করে রাখতে পারেননি। আর এ কারণে গত মৌসুমের স্বল্প পরিমাণে জমানো খড় ধান আসার আগেই শেষ হয়ে যায়। ফলে খড়ের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। উপজেলার বিভিন্ন হাটে খড়ের প্রতিটি আটি বিক্রি হয়েছে এক টাকা দরে। কিন্তু এখান তা কিক্রি হচ্ছে চার টাকা দরে। এক ভ্যান খড় বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। উপজেলার সাতকুড়ি গ্রামের কৃষক শরিফুল খড় কিনতে এসে জানান, তার বাড়িতে ১০টি গরু রয়েছে। এসব গরুর জন্য খড় কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়াও গরুর অন্য খাদ্য ভুষি, খৈল ও চালের গুড়ার (খুদ) দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলা হিলি বাজারের গো-খাদ্য ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ভুষি ৩২ টাকা, চালের গুড়া ৩৬ টাকা ও খৈল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ আগে ভুষি ২০ টাকা, চালের গুড়া ২২টাকা ও খৈল ৩৬ টাকায় বিক্রি হতো। উপজেলার ছাতনী গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, এ বছরের মতো কোন বছরেই গরুর খাদ্যের দাম বাড়িনি। অথচ দুধের দাম আগের মতোই আছে। প্রতি লিটার দুধ ৩৫ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। এতে দুধ বিক্রি করে কোন লাভ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানান, শ্রী ননি গোপাল বর্মন জানান, আমাদের উপজেলায় ছোট-বড় ৯০টি গরুর খামার রয়েছে। এ বছর বন্যার কারণে গোÑখাদ্যের সংকট দেখা দেয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এক মাসের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে। তখন এ সমস্যা থাকবেনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন