রাজধানীর কাকরাইলে মা শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও ছেলে শাওন (১৭)কে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক আল আমিন ওরফে জনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জনি করিমের তৃতীয় স্ত্রী ভাই।
গতকাল রোববার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে জানিকে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আলী হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ থেকে জনিকে গ্রেফতার করে র্যাব।
আদালতে জনির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। জনি নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তার ভাই। শনিবার জনিকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গত বুধবার বিকেলে কাকরাইলের রাজমণি-ইশা খাঁ হোটেলের বিপরীত পাশে মায়াকানন বাসার পাঁচতলায় গৃহকর্মীকে রান্নাঘরে আটকে রেখে শামসুন্নাহার করিম ও তার ছেলে শাওনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে নিহতের স্বামী আবদুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে। পরে বৃহস্পতিবার করিম ও মুক্তাকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার করিম ও মুক্তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক দুইজনকে ছয়দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
জানা গেছে, আবদুল করিম ও শামসুন্নাহার দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে নিহত শাওন সবার ছোট। তাদের বড় দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। রাজধানীর শ্যামবাজারে আবদুল করিমের ব্যবসা রয়েছে। ঘটনার সময় তিনি সেখানেই ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন