যমজ সন্তানের একটি বের করার পর আরেকটিকে ভেতরে রেখেই নারীর পেট সেলাই করে দেয়ার ঘটনায় ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ দেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন সকাল ১০টায় হাইকোর্টে হাজির হন পেটে সেলাইকারী কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বেগম, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির মালিক মজিবুর রহমান ও কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান।
এক সন্তানকে পেটের ভেতরে রেখে সেলাই করার ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর ওই তিনজনকে ৭ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট।
আজ হাজির হয়ে আদালতের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন তারা। এরপর এ ঘটনায় ১৫ নভেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া ১৬ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তারের প্রসবব্যথা উঠলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গৌরীপুরের লাইফ কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার একটি মেয়ে জন্ম হয়। তখন তার স্বজনরা ডাক্তারকে খাদিজার পেটে যমজ বাচ্চা আছে জানালে ডা. শেখ হোসনে আরা স্বজনদের জানান, খাদিজার পেটে বাচ্চা একটিই। অন্যটি টিউমার। ৪ দিন ভর্তি রাখার পর তাকে ক্লিনিক থেকে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়।
ক্লিনিক থেকে খাদিজাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর কয়েক দিন পর থেকে তার আবার সমস্যা দেখা দেয়। ১৫ দিন পর আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা জানতে পারেন খাদিজার পেটে আরেকটি বাচ্চা আছে।
এর পর ২২ অক্টোবর রাত ৮টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ অক্টোবর সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে একটি মৃত ছেলে বের করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন