সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে কিন্তু জনবল বাড়ানো হয়নি। এদিকে ট্রেনের ভাড়াও বেড়েছে কিন্তু ট্রেন যাত্রীদের সেবার মান বাড়েনি। জোরাতালি দিয়ে চলছে স্টেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এতে করে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। উত্তরের রেলওয়ে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর। প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনাগামী রূপসা আন্তঃনগর এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী তিতুমীর ও বরেন্দ্র আন্তঃনগর এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি লোকান ট্রেন চলাচল করে থাকে। নিরাপদ ভ্রমণের জন্য শত শত যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকেন। স্টেশনের শতবর্ষী পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই নুতন ভবনের কার্যক্রম শুরু হয় গেল বছরের জানুয়ারিতে। স্টেশনের নির্মিত ভবনে যাত্রী বিশ্রামাগার, টয়লেটসহ অন্যান্য সুযোগ- সুবিধা থাকলেও কোন সেবাই পাচ্ছেন না যাত্রীরা বলে অভিযোগ করা হয়। জনবল সঙ্কটের কারণে স্টেশনের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি স্টেশনের দৈনিক রুটিন কাজেও হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। ট্রেন যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা না বাড়িয়ে ট্রেনের ভাড়া বাড়ায় ক্ষুব্ধ ট্রেন যাত্রীরা। দফায় দফায় ভাড়া বাড়ানো হলেও ট্রেনের আসন, টয়লেট ইত্যাদির দিকে নজর দেয়া হয়নি। অধিকাংশ ট্রেন চোরাকারবারীদের দখলে থাকায় সাধারণ যাত্রীরা প্রায় নাজেহাল হচ্ছেন। বগির আসন ছেঁড়া ও ভাঙ্গা। ছারপোকার কামড়ের অভিযোগ যাত্রীদের। সূত্র জানায়, ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেশনের কার্যক্রম পুরনো জনবল কাঠামোতে পরিচালিত হচ্ছে। স্টেশনে মঞ্জুরী পদের বিপরীতে অর্ধেক জনবল কর্মরত রয়েছে। বাকি অর্ধেক পদে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন লোক নেই। ফলে স্টেশনের ওয়েটিং রুম, টয়লেট সারাক্ষণ তালাবদ্ধ থাকতে দেখা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন