লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদদতা : লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগরে কুঠির শিল্পমেলার নামে চলছে লটারি তথা জুয়া ও নাচ গান। লটারিকে জায়েজ করার জন্য নামমাত্র দুই চারটি দোকান বসিয়ে মূলত সোনালি লাকি কুপন বিক্রির নামে অবৈধ রমরমা জুয়া খেলাই চালিয়ে নিচ্ছে আয়োজকরা। প্রতিদিন নিরীহ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকা। তাদের শতাধিক মাঠকর্মী প্রতি জনে জনে রিকশা ও সিএনজিতে মাইকিং করে এ কুপন বিক্রি করে। উপজেলার সর্বত্রই রাতদিন এ কুপন দেদার বিক্রি করছে। প্রত্যেক কর্মী প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার কুপন বিক্রি করে। প্রতিটি কুপনের মূল্য রাখা হয়েছে ২০ টাকা।
অনেকে পাড়া-পড়শির হাঁস-মুরগী,গরু-ছাগল ও ছোটখাটো দ্রব্যাদি চুরি করছে। বিগত কয়েকদিন ধরে ফেজবুক ব্যবহারকারীরা তাদের টাইমলাইনে এই জুয়া ও নাচ-গান বন্ধের জন্য নানাভাবে ইউএনওকে আহŸান করে যাচ্ছে। তবে উপজেলার ইউএনওকে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি স্থানীয় এক সাংবাদিক এ ব্যাপারে ইউএনও মাহবুব আলমকে মোবাইল করলে ইউএনও বলেন, এটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পরক্ষণে ওই সাংবাদিক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সেটি তো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং মোবাইল লাইন সংযোগ রেখেই তিনি সাথে সাথেই ইউএনওকে মোবাইল করে বলেন, তোমাকে এটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলাম, করনি কেন?
লটারির অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে লাকি কুপন লটারির পরিচালক সুলতান বলেন, সোনালি কুপন লটারির পরিচালক সুলতান জানান, ‘লটারির অনুমোদন নিতে হয় না এবং অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন নেই।’ গতকাল শুক্রবার ইউএনও মাহবুব আলমের মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন