ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে একসাথে ১০ থেকে ১৫ গুণ পর্যন্ত হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন আমরা ধানমন্ডিবাসী নামের একটি সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, দেশ-বিদেশের কোথাও একইসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ গুণ হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর রেকর্ড নেই। তাই ডিএসসিসি’র চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক, অস্বাভাবিক ও নজিরবিহীন হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মানবে না রাজধানীবাসী। হোল্ডিং ট্যাক্সের সমতায়নের নামে বর্ধিত অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় পর্যায়ক্রমে কঠোর আন্দোলনের পথ বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন তারা।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডিএসসিসির অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা ধানমন্ডিবাসী নামের একটি সংগঠন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে এ অযৌক্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ বন্ধের দাবি জানান ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে বর্ধিত এ ট্যাক্স প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক শওকত হোসেন পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- হোল্ডিং ট্যাক্সের সমতায়নের নামে বর্ধিত অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক কর অবিলম্বে বাতিল করা, ট্যাক্স বৃদ্ধির আগে নগরবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করে আইন অনুযায়ী ট্যাক্স নির্ধারণ করা, ঢালাওভাবে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ না করা, নিয়মানুযায়ী পাঁচ বছর পরপর হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে হবে এবং প্রস্তাবিত ট্যাক্স যেন কারো জন্য বোঝা না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া। এছাড়া দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বক্তারা। ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো- আগামী ১৬ নভেম্বর সিটি মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ১৮ নভেম্বর মিরপুর রোডে মানববন্ধন এবং সবশেষে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ডিএসসিসিকে হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ রাখা। এরপরেও দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান আমরা ধানমন্ডিবাসী’র আহ্বায়ক শওকত হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য জাহানারা বেগম, এমএ মতিন, গোলাম রব্বানি প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন