শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সাভারে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু তদন্ত কমিটি গঠন

| প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার : সাভারে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে সাভারের থানা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ‘রেজিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আট মাস শিশু সোহাগ হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার আলীনগর গ্রামের রিপন হোসেনের ছেলে।
নিহত ওই শিশুর বাবা রিপন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার শিশু ছেলেকে সোমবার সুন্নতে খাতনা করার জন্য সাভারের রেজিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করান। পরে ওই ক্লিনিকের এনেসথেসিয়া ডা. টিটু শিশুটিকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। পরে সার্জারি চিকিৎসক ডা. আকরাম হোসেন সুন্নতে খাতনা করার কিছুক্ষণ পরেই শিশুটির অবস্থার অবনতি ঘটলে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই শিশুটি মারা যায়। এঘটনার পর ওই চিকিৎসক ক্লিনিক থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ করলে উল্টো মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখান রেজিয়া ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরে শিশুটির লাশ পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে যান।
অভিযোগ উঠেছে, রেজিয়া ক্লিনিকে নামীদামি চিকিৎসকদের সাইনবোর্ড থাকলেও নেই কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসক, ক্লিনিকের অদক্ষ নার্সদের দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। এর আগেও ওই ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় কয়েকজন রোগী মারা গেছে। স্থানীয়রা অবিলম্বে ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাভার উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে রেজিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান নুরজাহান আক্তার বলেন, ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসলে রোগী মারা যাবে, সুস্থ্য হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কেউ কি আর ইচ্ছে করে মারে। আর যে চিকিৎসক সুন্নতে খৎনা করছে সেতো ভুয়া চিকিৎসক না।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সাভার উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা ডা. আমজাদুল হক জানান, রেজিয়া ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্তে সার্জারি চিকিৎসক শাহনাজ পারভীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার বকচর গ্রামের মোহসিন মিয়ার স্ত্রী প্রসুতি শিউলি আক্তার (২২) রেজিয়া ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় মারা গেছে।
তখন শিউলির বাবা রহিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রসব ব্যথা উঠার পর মেয়ে রেজিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করি। পরে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। শিউলি পায়ে হেটেই যায়। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক জানায়, তার নাতি হয়েছে। কিন্তু ঘণ্টাখানের পরে জানানো হয়, নাতি সুস্থ আছে; মেয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায়ও তখন ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন