শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আখ খেজুর ও তাল রসে গুড়

| প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু : শীত মৌসুমে শুরু হয় খেজুর ও তালের রস উৎপাদন। আর এ শীত মৌসুমে অবৈধ ব্যবসায়ীরা ওই রস সংগ্রহ করে তৈরি করে এক প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি। যা পান করে বিপথগামী হয় কিশোর-যুবকসহ শ্রমজীবী মানুষ। তবে সরকার মহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করলে ওই রস দিয়ে গুড় উৎপাদন করে শিল্পে রুপ দিতে পারে বলে একাধিক মহল মন্তব্য করেন। সৈয়দপুরের মাটি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি উর্বর। যার ফলে খেজুর বা তালের বীজ জমিতে পড়লেই গাছ হয়। এসব গাছ গরু ছাগলে খেয়ে ফেলার ভয়ও নেই। কীটপতঙ্গও ক্ষতি করতে পারে না।
কৃষি বিভাগ জানায়, পরিকল্পনা মতো এসব গাছ রোপণ করলে এক বিঘা জমিতে প্রায় এক থেকে দেড় শত গাছ লাগানো সম্ভব। গাছ লাগানোর সাত-আট বছর পর থেকে প্রায় ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত রস অথবা ওই রস থেকে গুড় উৎপাদন করে আয়ের উৎস হওয়া সম্ভব। গতকাল শহরের গোলাহাট এলাকার গাছি সরকারের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, তার জমিতে লাগানো রয়েছে প্রায় দুই হাজার খেজুর গাছ। শীত মৌসুমে একেকটি গাছ থেকে সর বিক্রি করে তিনি পান এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এভাবে তিনি দুই হাজার গাছ থেকে আয় করেন প্রায় তিন লাখ টাকা। এর মধ্যে তাকে ব্যয় করতে হয় মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
অপরদিকে ল²ণপুর এলাকার তালগাছি জগেন্দ্রনাথ রায় জানান, তার এলাকায় রয়েছে প্রায় এক হাজারের মতো তালগাছ। ওই এলাকার গাছিরাও রস বিক্রি করে দেয় অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছে। আর অবৈধ ব্যবসায়ীরা ওই রস দিয়ে তৈরি করছেন নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি। যা পান করে বিপথগামী হচ্ছে যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ। বাড়ছে ছিনতাই, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম।
এ অঞ্চলের একাধিক তাল ও খেজুর গাছিসহ সাধারণ মানুষ জানান, সৈয়দপুর উপজেলাজুড়ে রয়েছে প্রায় ২০ হাজারের ও বেশি তাল ও খেজুর গাছ। সরকার যদি আখের (কুশার) এর পাশাপাশি ওইসব গাছের রস দিয়ে গুড় উৎপাদন করত, তাহলে ঘুঁচে যেত অর্থনৈতিক সঙ্কট। সরকারিভাবে উদ্যোগ থাকলে সৈয়দপুর উপজেলা থেকে খেজুর ও তাল গাছ থেকে শীত মৌসুমে বছরে প্রায় কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে একাধিক মহল এ প্রতিবেদককে জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন