মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কপোতাক্ষ দূষণ করছে মহেশপুরের পৌর বর্জ্য

| প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ঝিনাইদহ থেকে মোস্তফা মাজেদ : ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনের বর্জ্য কপোতাক্ষ নদে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে পানি দূষিত হওয়ার পাশাপাশি নদটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পৌরসভার সচিব রাকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিষযটি তারা দেখবেন। পৌরসভার যে কর্মচারীরা এই নদে ময়লা ফেলে তাদের ইতোমধ্যে নিষেধ করা হয়েছে, তারপরও কেন ফেলা হচ্ছে সেটা দেখা হবে। তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে নদের পাড়ের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন। তখনই তারা এই বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, নদ-নদী আমাদের রক্ষা করতে হবে। এভাবে বর্জ্য ফেলে নদ ভরাট করা যাবে না। যশোর জেলার ওপর দিয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদটির কিছু অংশ বয়ে গেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার বুক চিরে। মহেশপুর শহরের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এই নদ।
নদটি মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খালিশপুর বাজার হয়ে মহেশপুর শহরে প্রবেশ করেছে। নদটি মহেশপুর শহর পেরিয়ে বৈচিতলা হয়ে আবারো শহরের আরেক পাশ দিয়ে বয়ে আজমপুর হয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলায় প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে চৌগাছা হয়ে যশোরের কেশবপুরে মিলেছে। এই নদের মহেশপুর শহর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া অংশ ঘেঁষে উত্তরে রয়েছে মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, আর দক্ষিণে পৌরসভার নির্মাণ করা একটি সড়ক। তার পাশেই রয়েছে পৌরসভা অফিস ভবন। মহেশপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরকে বাইপাস করে এই সড়কটি বারোইপাড়া নামক জায়গায় উঠেছে। পৌরসভা অফিস ভবনের অদূরে এই নদের মধ্যে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। সড়কের ধার ঘেঁষে নদের মধ্যে বর্জ্য ফেলায় এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই দুর্গন্ধে বসবাস করতে পারছেন না। তারা নদটির পানিতেও নামতে পারছেন না। মহেশপুর উপজেলার প্রবীণ শিক্ষক এ টি এম খায়রুল আনাম জানান, এটা খুবই অন্যায়। তিনি দুঃখ করে বলেন, বর্তমানে সময়ে এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন