রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জোড় ইজতেমায় মুসল্লিরা ইবাদতে মশগুল

| প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


টঙ্গী থেকে মো. হেদায়েত উল্লাহ : ছয় উছুলের হাকিকতের আলোকে ঈমান, আমল ও আখলাকের খাস বয়ানের মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার টঙ্গীতে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে তুরাগ তীরে দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সমবেত হয়েছেন। তারা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।
শুক্রবার বাদ ফজর মাওলানা রবিউল ইসলাম সূচনা বয়ান করেন। দুপুরে ইজতেমা ময়দানে বড় পরিসরে জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকাল থেকে টঙ্গী গাজীপুর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা যোগ দেন। জুমায় ইমমতি করেন মাওলানা ওমর ফারুক। জোড় ইজতেমায় ২০টি দেশের প্রায় দেড় হাজার বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন। আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আয়োজন ও প্রশাসন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইজতেমা ময়দানে ও আশপাশে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নজরদারিতে রয়েছেন। মুসল্লিদের সেবা দানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। আগামী ২১ নভেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জোড় ইজতেমা শেষ হবে। জোড় শেষ হলে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ শুরু হবে। জোড় ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের একটি বড় অংশ ইজতেমা ময়দানে থেকে যাবে। তারা বিশ্ব ইজতেমায় সার্বিক প্রস্তুতিতে অংশ নিবেন।
বিশ্ব ইজতেমা সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জিম্মাদার প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন জানান, জোড় ইজতেমায় খাস বয়ানের পাশাপাশি আগামী বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি নিয়েও দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিরা জোড় ইজতেমায় বাদ ফজর থেকে বাদ মাগরিব পর্যন্ত বয়ান পেশ করবেন। আগামী ১২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব ও ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার বিশাল প্যান্ডেলের প্রাথমিক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ স্বেচ্ছাশ্রমে জামাতের মুসল্লিরা আগামী দেড় মাসের মধ্যে শেষ করবেন।
টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, পাঁচদিনের জোড় ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মুস­িল্লদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য ইজতেমা মাঠে কাজ করছে। প্রবেশ পথে তল্ল­াশি ছাড়াও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন