সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু : উত্তরের গোটা নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় রাতে শীত অনুভ‚ত হচ্ছে। দিনের শেষে সন্ধ্যায় শীত শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। এখানকার মানুষ শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক কারিগরদের কাছ থেকে তৈরি করে নিচ্ছেন। অভাবী ও গরিব মানুষেরা পুরাতন লেপ-কাঁথা রিপেয়ারিং করে ব্যবহার উপযোগী করছেন। শহরের লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোতে ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। গেল বছরের চেয়ে এ বছর তুলার দাম ও মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোশকের দাম দ্বিগুণ পড়ছে। ফলে অনেকের পক্ষে তা বানানো সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে গরম কাপড় কেনার জন্য অভাবী মানুষেরা পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় করছেন। এবছর ৫০ টাকার নিচে কোনো গরম কাপড় মিলছে না। দোকানিরা জানিয়েছেন, চাহিদা বেশি এবং পুরাতন কাপড়ের সরবরাহ কম থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন কাপড় কিনতে আসা সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামের ষাটোর্ধ কাছুয়ানি বেওয়া জানালেন, ‘এত মঙ্গায় মোর কাপড় কিনা হইবে না, তাই বাড়িত গিয়া পুরান গজি (চাঁদর) সেলাই করে চালাবের লাগবে’। এই অঞ্চলে এখন দিনে কিছুটা গরম অনুভ‚ত হলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে শীতের তীব্রতাও বেড়ে চলেছে। ফলে গ্রামের হাটবাজারগুলোতেও জমে ওঠেছে পুরাতন শীতবস্ত্রের বেচাকেনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন