সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দুই যুবলীগ নেতা কর্তৃক এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় তাদেরকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে প্রায় ৩ মাস পর অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাড়াশ থানার এস আই সাচ্চু বিশ্বাস সকালে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলী আদালত -২,৩ এ অভিযোগ পত্রটি কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক বাবুল আক্তারের মাধ্যমে দাখিল করেন। বিষয়টি তাড়াশ থানার ওসি মনজুর রহমান নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত শেষে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর নওগাঁ ইউনিয়ন যুবলীগের ৬নং ওয়ার্ড সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান (৩২) ও নওগাঁ ইউনিয়ন যুবলীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মহির উদ্দিনকে (৩০) অভিযুক্ত করা হয়েছে। আনিছুর রহমান উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সাকুয়াদিঘী গ্রামের আবু তালেবের ছেলে এবং মহির উদ্দিন একই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাড়াশ থানার এসআই সাচ্চু বিশ্বাস জানান, পর্যাপ্ত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে ও মেডিকেল প্রতিবেদনে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের সু-ষ্পট আলামত পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মামলায় তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকালে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার রানীগ্রামের এক কিশোরী (১৩) তাড়াশ উপজেলার মান্নান নগর গ্রামে দুলাভাই সুরুজ আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। কিশোরী তার ছোট ভাইকে নিয়ে মান্নান নগর না নেমে ভুল করে মহিষলুটি এলাকায় গাড়ী থেকে নেমে ঘোরা ফেরা করছিল। এ সময় ওই দুই যুবলীগ নেতা তাদেরকে পথ দেখিয়ে দেয়ার কথা বলে মহিষলুটি বিদ্যাধর এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও টহল পুলিশের সদস্যরা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতা কিশোরী নওগাঁ ইউনিয়ন যুবলীগের ৬নং ওয়ার্ড সহ-সভাপতি ও উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সাকুয়াদিঘী গ্রামের আবু তালেবের ছেলে আনিছুর রহমান (৩২) ও ইউনিয়ন যুবলীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক একই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে মহির উদ্দিন(৩০)কে অভিযুক্ত করে ২৩ আগষ্ট সকালে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই থানা পুলিশ দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেন। পরে দল থেকে তাদের বহিস্কার করা হয়। বর্তমানে ওই দুই যুবলীগ নেতা জামিনে রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন