শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আদমদীঘিতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা : ব্যস্ত লেপের কারিগররা

| প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে মো. মনসুর আলী : বগুড়া আদমদীঘিতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা। শীতের আগমনে অনেকে শীত নিবারণের জন্য নতুন লেপসহ শীতবস্ত্র তৈরি করে নিচ্ছেন। এ ছাড়াও আবার অনেকে পুরাতন, লেপ-তোশক, গদি ইত্যাদি ঠিকঠাক করে নিচ্ছেন। আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌরশহরসহ আশপাশ এলাকায় দিন দিন শীতের প্রভাব বেড়েই চলেছে। গ্রাম এলাকার মানুষের শীত নিবারণের প্রথম উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় লেপ-কাঁথা। তাই স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর নারীরা সংসারের সব কাজের ফাঁকে লেপ-কাঁথা তৈরি করে একদিকে সংসারের খরচ কমান, আবার কেউ বাড়তি আয় করে থাকেন।
গতকাল বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, সান্তাহার রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারের দক্ষিণ পার্শ্বে লেপ-তোশকের কারিগররা এসব কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এখানে শীতের সময় ছাড়াও সারা বছর কমবেশি বিভিন্ন প্রকারের লেপ-বালিশসহ তুলা বিক্রি হয়। এই স্থানটিকে তুলাপট্টি বলেও অনেকে জানেন। এখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের এই সময়ে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হন বেশি। আর বাকি সময় কর্মচারী, দোকান ভাড়া, কারেন্ট বিলসহ কোনোরকমে দিন পার করতে হয়। এই তুলাপট্টির স্থানীয় লেপ ব্যবসায়ীরা জানান, তারা তিন ধরনের লেপ তৈরি করে থাকেন। যেমন- কার্পাস তুলার লেপ, গার্মেন্টস কালার তুলার লেপ, গার্মেন্টস নরমাল তুলার লেপ। একটি ভালো মানের তুলার লেপের মূল্য প্রায় এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। মাঝারী মানের তুলার লেপের মূল্য প্রায় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পড়ে। ছোট আকারের লেপের মূল্য পড়ে ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। একটি বড় আকারের লেপ তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। লেপ তৈরি করতে দুই-তিন কালারের কাপড় ব্যবহার করা হয়। এই শীত মৌসুম ছাড়াও তারা তোশক, তাজিম, বালিশ ও গদি ইত্যাদি তৈরি করে থাকে। এই তুলাপট্টির কারিগররা দৈনকি, সাপ্তাহিক ও মাসিক পদ্ধতিতে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। এখানকার একজন কারিগর বলেন, মধ্য ও নিন্ম আয়ের মানুষরাই আমাদের কাছে আসেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন