মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নিখোঁজের ৫ দিন পর বালু নদ থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নিখোঁজের পাঁচ দিন পর নিখোঁজ হওয়া চাউল ব্যবসায়ী মাসুদ রানার লাশ উদ্ধার করেছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল সকালে বালু নদের দক্ষিণ পাড়া ইস্টার্ণ পেপার মিলের সামনে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে হেলেনা আক্তার নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৯টার দিকে তার কাছে মোবাইল আসে। পরে সে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। পরিবারের লোকজন আরো জানান, তার সঙ্গে কারো কোনো শত্রæতা ছিল না। তার মাদরাসা রোডে চালের আড়ত, বরুণা বাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসা ও অটো-রিকশার ব্যবসা ছিল। এ ছাড়া সে জমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। ব্যবসায়িক দ্ব›েদ্বর কারণেই দুর্বৃত্তরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে পারিবারিকভাবে ধারণা করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালকের বরাত দিয়ে পরিবারের লোকজন জানান, নিখোঁজ হওয়ার রাতে মাঝিনা বটতলা এলাকায় কালো শার্ট ও জ্যাকেট পড়া চারজন যুবকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে খিঁলগাও থানার ইদারকান্দি এলাকার ওয়াসকুরণি নামে এক ব্যক্তি ছিল। তার সঙ্গে নিহত মাসুদ রানার জমিজমার ব্যবসা ছিল। প্রসঙ্গত, ইদারকান্দি গ্রামটি বালু নদের তীরঘেঁষা। অপর একটি সূত্র জানায়, নিখোঁজ হওয়ার রাতে মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে যে কল আসে সেটি ছিল রাতালদিয়া এলাকার মাদকসম্রাজ্ঞী ছলে বেগম ওরফে বিন্দু মাসী। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পুলিশের কাছে বারবার ধর্ণা দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীর সাথে কারো শত্রæতা ছিল না। সে ব্যবসা করত, আর বাড়িতে সময় কাটাত। কেউ পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেছে। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেন বলেন, এখনো কিছু বুঝা যাচ্ছে না। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন