অভ্যন্তরীণ ডেস্ক
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের দুই স্থানে সংঘর্ষে ৩৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় নির্বাচনী অফিসসহ বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনÑ
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আ.লীগের প্রার্থীর হাজী সফি উল্যাহ ও তার নির্র্বাচনী কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আ.লীগ বিদ্রোহী প্রাথী ফকরুল ইসলাম সবুজের কর্মী সমর্থকরা। জানা যায়, গত শনিবার রাত ১০টায় চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে আ.লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী সফি উল্যাহ নির্বাচনী মাইকে প্রচারণার করার সময় আ.লীগের বহিস্কৃত ও বিদ্রোহী প্রার্থী সবুজের লোকজন বাধা দেয়। এই সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফকরুল ইসলাম সবুজের লোকজন লাঠি সোটা, রানদা ও দেশীয় অস্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় আ.লীগ প্রার্থী হাজী সফি উল্যাহ সহ ২৭ জন আহত হয়। এসময় ১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার খবর পেয়ে হাজী সফি উল্যাহার সমর্থকরা ক্ষীপ্ত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর স-মিল, দোকান ও নির্বাচনী অফিস ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অপরদিকে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফকরুল ইসলাম সবুজ জানায়, আমার জনপ্রিয়তায় দিশেহারা হয়ে সরকারী দল আমার নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এতে আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগচ্ছি। গত শনিবারের ঘটনায় নৌকার সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন টেকের বাজার এলাকায় আমার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়, আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের, আমার কর্মী কাজী ইকবাল এর দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে আমি সহ ১০জন নেতা কর্মী আহত হই। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজিদুর রহমান সাজিদ জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা পারিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
লালমোহন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, লালমোহন ধলীগৌরনগর ইউনয়িনের ৬নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী জাকির হোসেন ভূঁইয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাঁ হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়ার বাহিনী। গত রোববার সকালে কবিরের দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুমূূর্ষু অবস্থায় জাকির হোসেন ভূঁইয়াকে লালমোহন হাসপাতালে আনা হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। এদিকে জাকির হোসেন ভূঁইয়াকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জাকির হোসেনে ভূঁইয়া ওই এলাকার বেলায়েত ভূঁইয়ার ছেলে। গতবারও সে ওই ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচিত হয়। এবারের নির্বাচনে তার আপন চাচাতো ভাই গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া প্রতিদ্বন্দ্বি।
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নে বালিজুরী বাজারে রোববার গভীর রাতে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের নৌকা ও জাপার প্রার্থী ডাঃ মোঃ আব্দুস সালামের লাঙ্গল প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা সেলিম আল রেজা বাবলু জানান, আ.লীগের প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ শামছুদ্দিন চশমা প্রতিকের লোকজন গভীর রাতে অফিস ভাঙচুর করেছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীন জানান, প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ শামসুদ্দিনের লোকজন বেশ কয়েকদিন ধরে আমার সমর্থকদের ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করে আসছে। আমার ধারনা ওই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর লোকজন অফিস ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এদিকে সিধলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ শামছুদ্দিন উক্ত ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় আমার লোকজন জড়িত নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন