সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দুপচাঁচিয়ায় লেপ-তোশকের দোকানে বাড়ছে ভিড়

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মো. গোলাম ফারুক : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বইতে শুরু করেছে শীতের হাওয়া। দিনের গরমের সাথে সাথে সন্ধ্যার শুরুতেই পড়ছে কুয়াশা। হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে না হতেই শীতের বুড়ি এসে যেন জবরদখল করে নিচ্ছে উপজেলার আশপাশের প্রকৃতি। দিনে গরম আর রাতে কুয়াশায় শীতল হাওয়া আর ভোর রাতের ঘন কুয়াশায় হাতছানি দিয়েই বলে দিচ্ছে শীত আসন্ন। তাই তো শীতের এ প্রভাব থেকে রক্ষার্থে সাধারণ মানুষ ভিড় করছে লেপ-তোশকের দোকানে। এখন এসব দোকানের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানের চেয়ে উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রভাব সাধারণত একটু বেশি এবং তা অনেকটা দীর্ঘস্থায়ীত্বও হয়। তাই শীত আসার আগেই সাধারণ মানুষ সাধ্যমতো প্রয়োজন অনুসারে গরম লেপ-তোশক তৈরি করে নেন। অনেকে পুরাতন লেপ মেরামত করেও থাকেন। এ কারণেই অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ সময় লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়ে যায়। গতকাল শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো এই উপজেলার লেপ-তোশকের দোকানগুলোতেও কাজের চাপ অনেক বেড়েছে। উপজেলা সদরের শহর তলায় একতা শয্যালয়ের মালিক শেখ আইয়ুব আলী জানান, বছরের অন্যান্য সময় তাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ থাকে। সাধারণত কার্তিক মাসের শুরু থেকেই তাদের ব্যবসা শুরু হয়। এ সময় তারা লেপ-তোশক তৈরির পাশাপাশি বিছানার চাদর, বালিশ ও সোফার কভারসহ দরজা-জানালার পর্দার কাপড় বিক্রি করে থাকে। শিমুল ও কার্পাস তুলার মূল্য বৃদ্ধি ও দুষ্প্রাপ্যতার কারণে লেপ-তোশকে এ তুলা সাধারণত আর ব্যবহার হয় না। এখন সাধারণ মানুষ গার্মেন্টসের তুলা ও ঝুট দিয়ে লেপ-তোশক বানিয়ে নেয়। ভালো কাভারসহ একটি লেপ তৈরি করতে প্রায় ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা খরচ হয়। বাজারে দেশি কম্বল অবাধে বিক্রি হওয়ায় এবং তুলা কাপড়সহ আনুষাজ্ঞিক জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই তাদের জাত এ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। এরপরও এখনো যারা তাদের পৈত্রিক এ ব্যবসা ধরে রেখেছেন, তারাও এ প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে পারছেন না। ফলে দিন দিন এ ব্যবসা সঙ্কুুচিত হয়ে আসছে। উপজেলায় শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে হাতেগুনা লেপ-তোশকের যে কয়টি দোকান আছে, সে দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। লেপ-তোশকের এই সব দোকানের করিগরদের ব্যস্ততায় মনে করে দিচ্ছে শীত আর দূরে নয়। অপরদিকে, বিত্তবানরা ছুটছেন বিপণী বিতান ও নামি-দামী কাপড়ের মার্কেটগুলোতে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন