নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জলাঞ্চল খ্যাত বগঞ্জ, সাতবাড়িয়া, ঢালুয়া, মৌকারা, রায়কোট, বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের কৃষি জমিতে কচুরিপানা জট বেঁধে যাওয়ায় আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষকদের জমিতে ধান রোপণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের শত শত একর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ওই অঞ্চলের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃষ্টির পানির স্রোতের সাথে কচুরিপানা এসে নিন্মাঞ্চলের ধানি জমিতে জট বাঁধে। মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাতের স্রোতের সাথে আসা কচুরিপানাগুলো কৃষকরা অনেক টাকা খরচ করে অপসারণ করার পর দ্বিতীয়বার আবারো বৃষ্টিপাত সৃষ্টি হয়ে স্রোতের সাথে কচুরিপানা এসে জট বাঁধে।
বগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম, চানপুর, আলিয়ারা, মদনপুর, বাকিহাটি, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া, সাজনপুর, তপোবন, ঢালুয়া ইউনিয়নের চৌকুড়ি, নাইয়ারা, পুঁটিজলা, শিহর, পৌছইর, মৌকারা ইউনিয়নের মৌকারা, আলিয়ারা, করাকোট, মহেশ্বর, রায়কোট ইউনিয়নের পূর্ব বামপাড়া, খাঁঘর, বেকামলিয়া, দাসনাইপাড়া. পিপড্ডা, বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট, শ্যামপুর, গান্দাছি গ্রামসহ আশপাশের এলাকার শত শত একর কৃষি জমিতে ব্যাপকহারে কচুরিপানার জট দেখা যায়। উপজেলার অষ্টগ্রামের কৃষক আবদুস সাত্তার বলেন, বর্ষার প্রথম দিকে তার জমিতে কচুরিপানার জট বাঁধলে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করে তা অপসারণ করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বারের বর্ষায় আবারো জমিতে কচুরিপানা জট বাঁধে। বর্তমানে পুনরায় টাকা খরচ করে কচুরিপানা অপসারণ করে জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণে তার মাঝে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। গান্দাছি গ্রামের কৃষক আলী হায়দার মজুমদার, শ্যামপুর গ্রামের রবিউল হক বলেন, বর্ষায় নিন্মাঞ্চলের জমিতে কচুরিপানা জমে যাওয়ায় অনেক টাকা ব্যয়ে তা অপসারণ করে ইরি-বোরো ধান রোপণ করে লাভবান হওয়া নিয়ে কৃষকদের মধ্যে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল হাসান আলামিন বলেন, কচুরিপানা অপসারণে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ না থাকায় কৃষকের নিজ উদ্যোগে তা অপসারণ করে জমিতে চাষাবাদ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন