বিএনপি’র অভিযোগ পুলিশি হয়রানির
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের পুলিশী হয়রানীর অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তবে জাতীয় পার্টির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মিডিয়া উইংসের প্রধান।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এসএম ইয়াসির জানিয়েছেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী লাঙ্গল প্রতীক তৈরি করে ৮ নং ওয়ার্ডের একটি মোড়ে বসিয়েছি। সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন আমাদের কর্মীদের এ নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তাদেরকে লাঙ্গল সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছে, থ্রেট দিয়েছে। অথচ নৌকা প্রতীকই আইন ভেঙ্গে অনেক বড় নৌকা অটোর মধ্য করে নগরী চষে বেড়াচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সব সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। অথচ তারা আমাদের নামে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করছে। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যপারে মাঠ পর্যায়ে আরও সচেতন হওয়ার দাবি জানান তিনি।
পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টুর নির্বাচনী মিডিয়া সেলের প্রধান রিয়াজ আহমেদ হিমন জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রতিপক্ষের বন্ধুরা নৌকা প্রতীকের ভোট জোয়ার দেখে তারা নানান কুৎসা রটাচ্ছেন।
বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম মিজু ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, পুলিশ প্রতিদিন আমাদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালাচ্ছে। দলের নেতা/কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারনাও চালাতে পারছেন না, গণসংযোগও করতে পাছেন না। নৌকা ও লাঙ্গল প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে অফিস করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কিছুই দেখছেন না। অথচ আমাদেরকে কিছুই করতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা পার্টি অফিসে নির্বাচনী মিটিং করছি সে কারণেই আমাদের ব্যাখ্যা চাচ্ছে। একারনে আমরা মনে করছি এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন