চাটমোহর (পাবনা) থেকে আফতাব হোসেন : প্রতিবছর শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলের বিভিন্ন জলাশয় ও ছোট বিলগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করে দেশি ও অতিথি পাখি। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে আশপাশের এলাকা। এ সুযোগে সৌখিন ও পেশাদার পাখি শিকারিরা এসব পাখি নিধন করছেন। পাখি শিকার আইনত নিষিদ্ধ হলেও এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। শীতের শুরুতেই জলাশয় ও ছোট ছোট বিলগুলোর পানি নেমে যায়। এ সময় অল্প পানিতে খাবার সংগ্রহের জন্য বিলে প্রচুর দেশি ও অতিথি পাখি আসে। চলতি বছর জলাশয় ও বিলগুলোতে আমন ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। প্রচুর মাছও দেখা যাচ্ছে। ফলে বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে বালি হাঁস, বাটুল, চখাচখি, শামখোল, পানকৌড়ি, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি বসতে শুরু করেছে। আর এ সুযোগে এক শ্রেণির পাখিশিকারি বন্দুক, বিষটোপ, কারেন্ট জাল ও ফাঁদ পেতে প্রতিনিয়ত পাখি নিধন করছে। প্রকাশ্যে এসব পাখি বিক্রি হচ্ছে চাটমোহর, বড়াইগ্রাম, তাড়াশ, ভাঙগুড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার হাট-বাজারে। পাখি ধরে শিকার করে বিক্রির কথা স্বীকারও করেছেন পাখি শিকারিরা। তারা জানান, শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন বেশি। তাই এই সময় তারা পাখি শিকার করে থাকেন এবং ওইসব পাখি বাজারে বিক্রি করেন।
পাখি শিকারি কুদ্দুস আলী বলেন, বাজারে পাখির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই কোনোমতে ধরতে পারলেই বিক্রি করতে সমস্যা হয় না। প্রতি জোড়া সাদা বক ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, চখাচখি ১০০ থেকে ১২০, কাইয়ুম পাখি ৩৫০ থেকে ৪০০ ও বালিহাঁস ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। ফলে বেশি লাভের আশায় অনেকেই মাছ ধরা বাদ দিয়ে পাখি শিকার করছেন। এভাবে অতিথি পাখি নিধন হলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে বলে অভিমত স্থানীয় সচেতন মহলের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন